কলকাতা : গ্রীষ্মকালে শরীরকে ঠান্ডা এবং সতেজতা দেওয়া পানীয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ডাবের জল। একইসঙ্গে লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যদি এই দু'টিই মিশিয়ে গ্রীষ্মে পান করা হয়, তাহলে তা শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর প্রমাণিত হতে পারে। আসুন জেনে নিই গ্রীষ্মকালে লেবুর রসের সঙ্গে ডাবের জল মিশিয়ে পান করার উপকারিতা-

পাচনে সাহায্য করে- লেবু হজম রস সক্রিয় করে এবং ডাবের জল অন্ত্রকে প্রশান্ত করে। এই মিশ্রণটি গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে- দু'টি উপাদানই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দেয়, ব্রণ কমায় এবং ত্বককে হাইড্রেট রাখে।

ওজন ঝরাতে সাহায্য করে- লেবু বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং ডাবের জলে ক্যালোরির পরিমাণ কম। এই পানীয়টি খিদে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং চর্বি বার্নের প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।

শরীরকে হাইড্রেট রাখে- ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা গ্রীষ্মে ঘামের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া খনিজ পদার্থের অভাব পূরণ করে। লেবুর রস ভিটামিন সি যোগ করে শরীরকে আরও সতেজ করে তোলে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ডাবের জলে উপস্থিত খনিজ পদার্থ একসঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বর, সর্দি ইত্যাদি সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

ডাবের জল এবং লেবুর রস কীভাবে পান করবেন- এক গ্লাস তাজা ডাবের জল নিন। এতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিন। আপনি চাইলে কিছু কালো লবণ বা পুদিনা যোগ করে স্বাদ বাড়াতে পারেন। এর পর, সকালে খালি পেটে অথবা দুপুরের খাবারের এক ঘণ্টা পরে বিকেলে এটি পান করুন। এটি বেশ উপকারী হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গরমকালে কমবেশি অনেকেই ডাবের জল পান করে থাকেন এবং পছন্দও করেন। শরীরে এর উপকার অশেষ। অন্যদিকে, লেবুর রসও শরীরের জন্য অসাধারণ।

ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।