কলকাতা : একাকীত্ব শরীরকে ভেতর থেকে চাপে রাখতে পারে। তাই, সর্বদা সমাজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা- একসঙ্গে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। আসলে, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য (Physical and Mental Health) একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একাকীত্ব শুধু মানসিক স্বাস্থ্যকেই প্রভাবিত করে না, বরং অনেক বিপজ্জনক রোগও হতে পারে। সিডিসিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, একাকীত্ব কখনো কখনো মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই এনিয়ে ভাবা উচিত। আসুন জেনে নিই একাকীত্ব কতটা বিপজ্জনক এবং কী কী রোগের ঝুঁকি তৈরি করে...


সামাজিক উদ্বেগ- একাকীত্ব সামাজিক উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে কেউ কেউ বাইরে যাওয়া বা অন্যদের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে চিন্তায় থাকে। তারা অন্যদের সঙ্গে কথা বলতেও ইতস্তত করে। ভয় পায় এই ভেবে যে মানুষ তাদের সম্পর্কে কি ভাববে। ফলে, অনেক সময় বাইরে গিয়ে অন্যের সঙ্গে দেখা করতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।


ক্রনিক রোগ- একাকীত্ব দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে যাঁরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন তাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে।


ডায়াবেটিস- খারাপ জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে ডায়াবেটিসের সমস্যা দ্রুত বাড়ছে। তবে যাঁরা একা থাকেন তাঁদের জন্য এর ঝুঁকি অনেক বেশি হতে পারে। তাঁদের প্রায়ই ঘুমের সমস্যা হতে পারে।


আরও পড়ুন ; মনে মনে কান্না বাঁধ ভেঙেছে কিন্তু চোখের জল পড়ছে না, কেন ? কী হয় এতে ?


বিষণ্ণতা- একটি গবেষণা অনুসারে, একাকীত্ব ক্রমাগত বিষণ্ণতার কারণ হতে পারে। একা থাকলে মনে খারাপ চিন্তা আসে। নেতিবাচকতা থাকতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে।


দুর্বল হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা- সব সময় একা থাকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। এই ধরনের লোকেরা বারবার অসুস্থ হতে শুরু করে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, একাকীত্বের কারণে শরীরে অ্যান্টিবডি সঠিকভাবে তৈরি হয় না, যা সংক্রমণ ও রোগের কারণ হতে পারে।


আরও পড়ুন ; গত ২৪ ঘণ্টায় একবারও ঘুমিয়েছেন ? বলে দেবে রক্ত পরীক্ষা


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।