কলকাতা: অবসাদ। যতদিন যাচ্ছে এর কথা যেন তত বেশি করে শোনা যাচ্ছে। পেশা থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবক্ষেত্রেই কোনও না কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নানাভাবে থাবা বসায় স্ট্রেস-হাইপারটেনশন। হানা দেয় অবসাদও (depression)। এর থেকে দূরে থাকতে নানা উপায় বা সাবধানতা অবলম্বন করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন তারই একটি উপায় হল খাবার। কিছু কিছু খাবার বিভিন্ন কারণে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।


আখরোট:
সেরোটোনিন (Serotonin) হরমোন 'মুড' ভাল রাখতে সাহায্য করে। আবার এই হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে ট্রিপটোফ্যান নামের একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড (Amiono Acid)। খাবার থেকেই ট্রিপটোফ্যান সংগ্রহ করতে হয়। আখরোট এই অ্যামাইনো অ্যাসিডের খুব ভাল উৎস। আখরোটো (Walnut)-এ ওমেগা থ্রি (Omega 3) ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে, যা 'Anxiety' রুখতে সাহায্য করে।     


অ্যাভোকাডো:
আখরোটের মতোই অ্যাভোকাডো (Avocado) ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। যা সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও জুড়ি নেই অ্যাভোকাডোর। 


সবুজ শাক:
যে কোনও ধরনের সবুজ শাকজাতীয় খাবার অবসাদ ঠেকাতে কার্যকরী। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, উদ্বেগ-সংক্রান্ত সমস্যা কমাতে কার্যকরী। শরীরেের জন্য প্রয়োজনী একাধিক পোষকপদার্থও মেলে সবুজ শাক থেকে।


পেঁয়াজ:
মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সেরোটোনিন। কিছু কিছু জিনিস শরীরে সেরোটোনিন তৈরিতে বাধা দেয়। পেঁয়াজের (Onion) রাসায়নিক গুণ সেই প্রক্রিয়াটিকেই বাধা দেয়। ফলে সেরোটোনিন তৈরিতে সমস্যা হয় না।


মাশরুম:
অবসাদ ও উদ্বেগ দূরে রাখতে মাশরুম (Mushroom) বিভিন্ন ভাবে কাজ করে। মাশরুমে বহু পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা উদ্বেগ-সংক্রান্ত সমস্যার (Anxiety) সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। পাশাপাশি মাশরুমে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। যা কোষের ক্ষতি রুখতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের ক্ষেত্রেও সেই কাজ করে।  


বিন-জাতীয় খাবার:
অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যানের আরও একটি ভাল উৎস হল বিন-জাতীয় খাদ্য। এছাড়া বীন জাতীয় খাবারে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। যা মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। বিনজাতীয় খাবার যেমন রাজমা নিয়মিত খেলে আরও একাধিক উপকারও মেলে।


বীজ:
চিয়া সীডস (Chia Seeds), ফ্ল্যাক্স সীডস (Flax Seeds) বা তিসি অবসাদ দূরে রাখতে সাহায্য করে। এসব বীজে ওমেগা থ্রি, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট (Anti-Oxidants) এবং ফাইবার থাকে। যা সম্মিলিত ভাবে শরীরে পুষ্টিপদার্থ শোষণে সাহায্য করে। তার ফলেই সেরোটোনিন তৈরির প্রক্রিয়া বাধামুক্ত হয়।  


এছাড়াও টোম্যাটো, ব্ল্ু-বেরি, দই, সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। মুরগি বা টার্কির মাংসও ট্রিপটোফ্যানের উৎস। যা সেরোটনিন বৃদ্ধিতে সহায়ক।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

আরও পড়ুন: খালি পেটে যে ৫ খাবার খেলে শরীর খারাপ হতে পারে