কলকাতা : সময়ে সময়ে সুগার টেস্ট করা উতিচ। তাতে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখা যায়। জানা যায় যে, রক্তে শর্করা দীর্ঘদিন ধরে বেশি না কম রয়েছে। এই তথ্য চিকিৎসকেরও চিকিৎসায় অনেক কাজে লাগে। সুগার পরীক্ষার জন্য কিছু সময় আছে যখন ফলাফল একেবারে ঠিকঠাক পাওয়া যায়। আপনি যদি এই বিষয়ে না জেনে থাকেন, তাহলে জেনে নিন কখন রক্তে শর্করার পরীক্ষা করা উচিত এবং এর জন্য সঠিক পদ্ধতি কী।
 
দিনে কতবার রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা উচিত ?


সিডিসি অনুসারে, আপনার যদি টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকে এবং আপনি ইনসুলিন গ্রহণ করেন তবে আপনার সাধারণত দিনে অন্তত চারবার রক্তে শর্করার পরীক্ষা করা উচিত। এর মাধ্যমে অনেক ধরনের সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।


ব্লাড সুগার চেক করার সঠিক সময়-



  • ফাস্টিং সুগার পরীক্ষার জন্য সকালকে সেরা সময় বলে মনে করা হয়। ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

  • খাবার খাওয়ার ঠিক আগে সুগার টেস্ট করা উচিত, তা ইনসুলিনের ডোজ নিতে সাহায্য করে।

  • খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর ব্লাড সুগার পরীক্ষা করা উচিত। তাতে বোঝা যায়, কোন খাবার খাওয়া ঠিক হবে, কোনটি খাওয়া উচিত নয়। গ্লুকোজের মাত্রা প্রভাবিত করে এমন খাবার দূর করতে সাহায্য করে।

  • যদি অত্যধিক তৃষ্ণা, ক্লান্তি, ঘন ঘন প্রস্রাব, মাথাব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টির মতো হাইপার বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলি পরিলক্ষিত হয় তবে তা সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করার উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হয়।

  • ব্যায়ামের আগে এবং পরে রক্তে শর্করার পরীক্ষা করা উচিত। আসলে, ব্যায়াম রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে, এই পরিস্থিতিতে তা পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে।


ব্লাড সুগারের মাত্রা কত হওয়া উচিত ?


আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলে থাকে যে, খাওয়ার আগে রক্তে শর্করার মাত্রা ৮০-১৩০ এমজি/ডিএল হওয়া উচিত। খাবার খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা পরে এর মাত্রা ১৮০ এমজি/ডিএল এর কম হওয়া উচিত। যাইহোক, এটি চিকিৎসার ইতিহাস, বয়স, রোগের কারণে পরিবর্তিত হতে পারে।


তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।