কলকাতা: সকালে সামান্য ভারী ব্রেকফাস্ট? বা দুপুরে কোনও পদ একটু ভাল লেগে যাওয়ায় অনেকটা বেশি খেয়ে নিয়ে অস্বস্তি হচ্ছে? এমন হলে অনেকসময়েই চটজলদি নানা পদক্ষেপ করা হয়। হজম করতে কারও ভরসা তখন টোটকা আবার কারণ ভরসা কোনও ওষুধ। প্রয়োজনে সেসব খাওয়াই যায়, কিন্তু এই অস্বস্তি কাটানোর অন্যতম ভাল উপায় হচ্ছে খাওয়ার পরে অল্পবিস্তর হাঁটা (Walking)।
অনেকসময়ে খাওয়ার পরে আলস্য পেয়ে বসে। সেইসময় শুয়ে পড়লে বা ঘুমিয়ে পড়লে অনেকেরই অম্বলের সমস্য়া হয়। এর কারণ হজমজনিত (Digestion) সমস্যা। এর থেকে মুক্তি পেতেই প্রয়োজন হাঁটা। শুধু তাই হয়, খাওয়ার পর হাঁটলে আরও একাধিক সমস্যা এড়ানো যায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমে:
দিনে ভারী খাবার খাওয়ার পর হাঁটলে হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি কমে। বিশেষজ্ঞরা বলেন দিনে অন্তত একবার দুপুরে বা রাতের খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটলে অনেকটাই কমে যায় হৃদরোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি। তবে খাওয়ার পর খুব দ্রুত হাঁটা যাবে না, তার করলে অন্য সমস্যা হতে পারে। খাওয়ার পরে ধীর থেকে মাঝারি গতিতে হাঁটা যেতে পারে। শুরুর দিকে ৫ থেকে ৬ মিনিট একেবারে হালকা গতিতে হাঁটা যেতে পারে। তারপরে ধীরে ধীরে হাঁটার গতি বাড়ানো যেতে পারে। সবসময়েই যে মাঠে বা বাইরে হাঁটতে যেতে হবে, তা একেবারেই নয়। বাড়ির ভিতরে বা সামনে বা ছাদে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
হজমপ্রক্রিয়া ঠিকমতো হয়:
খাবারের পর হালকা হাঁটাহাঁটি করলে বিপাক প্রক্রিয়া ঠিকমতো হয়। তাড়াতাড়ি খাবার হজমে সুবিধা হয়। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে:
সম্প্রতি স্পোর্টস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, খাবারের পর হাঁটার অভ্যাস থাকলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকরী। যে সাতটি কেস গবেষণাপত্রটি মূল্যায়ন করেছে, তাঁদের মধ্যে পাঁচটি কেসে কারও প্রাক-ডায়াবেটিস বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস (Type 2 Diabetes) ছিল না। অংশগ্রহণকারীদের একটি পুরো দিনের প্রতি ২০ থেকে ৩০ মিনিটে দুই থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য দাঁড়াতে বা হাঁটতে বলা হয়েছিল।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য, রক্তে শর্করার মাত্রার দ্রুত ওঠানামা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তা তাঁদের অসুস্থ করে দিতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রার হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া বা কমে যাওয়ার প্রবণতা টাইপ ২ ডায়াবেটিস তৈরি করে, এমনটাই বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: সংখ্যার খেলায় লুকিয়ে মন ভাল রাখার উপায়, শান স্মৃতিশক্তিতেও