আজকাল অনেক অল্প বয়সীদের মধ্যেও দেখা যায় হাই ব্লাড প্রেশার অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। আর হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা থাকলে আপনার হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই। অর্থাৎ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের অবনতি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই হাই ব্লাড প্রেশারের মাত্রা কমিয়ে হার্টের যত্ন নেওয়া বিশেষভাবে জরুরি। বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেলে আপনার রক্তচাপের মাত্রা কমবে। তার ফলে ভাল থাকবে হার্ট। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি কমবে। তাই পাতে কোন কোন খাবার রাখবেন দেখে নিন একনজরে। যাঁদের হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা রয়েছে তাঁদের খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন। তাহলে কমবে ব্লাড প্রেশারের মাত্রা। ব্লাড প্রেশার অতিরিক্ত থাকলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য খারাপ হবে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। 


কী কী খাবেন দেখে নিন সেই তালিকা 



  • ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার- ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড প্রেশারের মাত্রা। এই তালিকায় অবশ্যই রাখুন পালংশাক। ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত ফল হিসেবে রোজের ডায়েটে রাখতে পারেন অ্যাভোকাডো, কলা। এছাড়াও খেতে পারেন কিনুয়া। 

  • পটাশিয়াম যুক্ত খাবার- কলার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও রয়েছে ভরপুর পটাশিয়াম। এই ফল রোজ একটা খেলে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পটাশিয়াম যুক্ত খাবার হিসেবে কলা ছাড়াও সবুজ রঙের বিভিন্ন শাকসবজি রাখুন রোজের মেনুতে। খেতে পারেন স্যামন মাছও। 

  • ফাইবার যুক্ত খাবার- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে ব্লাড প্রেশারের মাত্রা কমে। তার ফলে ভাল থাকবে হার্ট। হৃদযন্ত্রের একাধিক সমস্যা এড়ানো যাবে। ব্লাড প্রেশার কমাতে এবং হার্ট ভাল রাখতে ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন প্রতিদিন। পেট ভরে থাকবে অনেকক্ষণ। 

  • ব্রেকফাস্ট বাদ দেবেন না- ব্লাড প্রেশার কমাতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ব্রেকফাস্ট রোজ খেতেই হবে। একেবারেই বাদ দেওয়া চলবে না। মিষ্টি জাতীয় খাবার ব্রেকফাস্টে না রাখাই শ্রেয়। এর কারণে শুধু ব্লাড সুগার নয়, আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড প্রেশারও। 


আরও পড়ুন- মেদ ঝরানোর কসরতে ডায়েটিং, ওয়ার্ক আউট ছাড়াও কোন বিষয়গুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি? 


আরও পড়ুন- ৫ খাবারে কমবে 'ব্যাড কোলেস্টেরল', এড়ানো যাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।