কলকাতা: ওজন কমাতে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হয় খাবারে। সারাদিনের ডায়েটেই নজর দিতে হয়। তার সঙ্গেই বিশেষ করে প্রয়োজন ব্রেকফাস্টে নজর দেওয়া। কারণ শরীর সুস্থ রাখতে এবং ওজন লাগামে রাখতে সকালের মেনুই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়ে থাকেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে ওজন নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে খাবারও সেভাবেই বাছাই করতে হয়। কী কী খাবার দিয়ে দিন শুরু করলে মিলবে সুফল? দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।


ওটস
ব্রেকফাস্টে এর চেয়ে ভাল খাবার আর হয় না। অনেকক্ষণ পেট ভর্তি করাখে ওটস। এতে ক্যালোরি কম থাকে। বহুমাত্রায় থাকে প্রোটিন ও ফাইবার। ফলে ডায়াবেটিস থাকলে ব্রেকফাস্টে সহজেই রাখা যাবে ওটস। ওটসের খিচুড়ি থেকে ওটস স্মুদি--মেনুতেও রাখা যাবে নানা অপশন। প্রয়োজনে ওটসের সঙ্গে বিভিন্ন ফল ও বাদামও মেশানো যায়।


ডিম
ভরপুর প্রোটিনের উৎস। যেকোনও বয়সের কেউ ডিম খেতে পারেন। প্রয়োজনীয় পুষ্টিপদার্থের জোগান দেবে ডিম। তার সঙ্গেই ডিমে রয়েছে ক্যালশিয়াম, নানা ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন। প্রতিদিনই ব্রেকফাস্টে রাখা যাতে পারে ডিমের বিভিন্ন পদ। তবে   সবচেয়ে উপকার হয় তেল ছাড়া ডিমের পদ হলে।


দই
ব্রেকফাস্টে দুধ তো অনেকেই খান। কিন্তু দুধ অনেকেরই পছন্দ নয়, তাঁরা ব্রেফফাস্টে রাখতে পারনে দই। প্রোটিন, ক্যালশিয়াম তো রয়েছেই। তার সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে দইয়ে। দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের পাচনপ্রক্রিয়ার জন্যও ভাল। বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।


অঙ্কুরিত ছোলা
হজমপ্রক্রিয়া ভাল রাখার জন্য ছোলার কোনও জুড়ি নেই। কার্ব থাকায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।


চিঁড়ে
অনেকের সকালেই ভাত খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এদিকে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তেমন হলে, ভাতের বদলে পাতে রাখতে পারেন চিঁড়ে। পেট ভরবে, তার সঙ্গেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সুবিধে হবে।


এসবের সঙ্গে আরও দুটি জিনিস অব্যশই নজরে রাখতে হবে। প্রথমত দিনভর পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। দ্বিতীয়ত, ব্রেকফাস্টে রাখতে হবে মরসুমি ফল।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষার জন্য চারদিন বন্ধ গড়িয়াহাট উড়ালপুল