Healthy Foods: সুস্থ থাকতে চাইলে আপনি কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার অনেকটা ভূমিকা থাকে। সুস্থ-সবল থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেই হবে আপনাকে। মাঝে মাঝে মনের পছন্দ অনুযায়ী খাবার খাওয়াও কিন্তু জরুরি। তবে তা যেন নিয়মিত না হয়। কারণ আপনার সুস্থতার চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত তেল, মশলা, ভাজাভুজি বাদ দেওয়া প্রয়োজন। চিনি, মিষ্টি এগুলিও যত কম খাবেন ততই ভাল। প্রসেসড খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। অতিরিক্ত কোনও কিছুই খাওয়া আসলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। অতএব সময় থাকতেই সতর্ক থাকা জরুরি। তাই খেয়াল রাখুন আপনার শরীরে কোন উপকরণের ঘাটতি যেমন হতে দেওয়া যাবে না, তেমনই আধিক্যও যেন না হয়। তাহলেও বাড়বে বিপদ।
এবার জেনে নিন নিয়মিত কোন ধরনের খাবার খেলে আপনি সারা বছর সুস্থ থাকবেন
- কালে নামের একপ্রকার শাক খেতে পারেন। ভিটামিন এ, কে, সি রয়েছে এই শাকে। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, ফোলেট, ক্যালসিয়াম। হার্টের খেয়াল রাখে এই শাক।
- ব্রেকফাস্টে পাউরুটি খেলে অ্যাভোকাডো পেস্ট খেতে পারেন তার সঙ্গে। কিংবা অ্যাভোকাডো দিয়ে স্যালাড বানিয়েও খেতে পারেন। হার্ট ভাল থাকবে।
- নিয়মিত পালংশাক খেলে ভাল থাকবে শরীর-স্বাস্থ্য। ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন, ফোলেট, ফাইবার রয়েছে এই শাকে। পালংশাক চোখের জন্য ভাল। পালংশাক খাওয়ার আগে ভালভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি।
- রোজ সকালে ২-৩টে আমন্ড খান। হেলদি ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন রয়েছে আমন্ডে। কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট ভাল রাখে আমন্ড। তবে বেশি আমন্ড খেলে শরীরে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হতে পারে।
- ওজন কমাতে অনেকেই কিনুয়া খান। ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, বি ভিটামিন রয়েছে কিনুয়াতে। ওজন কমাতে খুব সাহায্য করে এই কিনুয়া।
- রোজ একটা ফল খাওয়া উচিৎ। এই তালিকায় ব্লুবেরি রাখতে পারেন। ফাইবার এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এই ফল খেলে ভাল থাকবে হার্ট, বাড়বে ইমিউনিটি।
- মিষ্টি আলু খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। ফাইবার, ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম রয়েছে মিষ্টি আলুতে। ইমিউনিটি বাড়ায় এই উপকরণ। খেয়াল রাখে ত্বকের। এমনি আলুর বদলে মিষ্টি আলু খাওয়া ভাল।
- চিয়া সিড আজকাল অনেকেই রোজ খেয়ে থাকেন। ওজন কমায়, হার্ট ভাল রাখে এই বীজ। পেট ভরিয়েও রাখে অনেকক্ষণ। কোলেস্টেরল কমায় চিয়া সিড। এই বীজের রয়েছে আরও অনেক গুণ। তবে একটানা অনেকদিন খেলে কিন্তু পেটের সমস্যাও হতে পারে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।