Ghee: গরম ভাতে অল্প একটু ঘি পেলেই পরম তৃপ্তিতে খেয়ে নিতে পারেন আপনি। আর কোনও পদ না হলেও চলবে, এমন অনেকেই রয়েছে। গরম গরম ঘি-ভাত খেতে পছন্দ করেন না, এমন লোকের সংখ্যা নেহাতই হাতেগোনা। ঘি খাওয়া এমনিতেও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তবে অল্প পরিমাণে খেলে তবেই উপকার পাবেন। নাহলে শরীরে বাড়বে সমস্যা। একাধিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে বেশি পরিমাণে ঘি খাওয়া হলে।
ঘি- এর সঙ্গে কোন কোন খাবার একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়, সেই তালিকাটা দেখে নিন একবার
- মধুর সঙ্গে ঘি কোনওভাবেই খাওয়া চলবে না। খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দেবে। মধু সহজে হজম হয়। আর ঘি- এর মধ্যে ফ্যাট এবং অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হওয়ায় সহজে হজম হতে চায় না।
- অ্যাসিডিক ফল কিংবা সবজি, অর্থাৎ যার মধ্যে সাইট্রিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সি- এর পরিমাণ বেশি তার সঙ্গে ঘি খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয়। টোম্যাটো এবং আনারস- এই দুইয়ের সঙ্গে কখনও ভুলেও ঘি খাবেন না। বদহজমের মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- মুলোর সঙ্গে ঘি খাওয়া চলবে না। অতএব শীতের মরশুমে মুলো ভাজা কিংবা মুলো ছেঁচকির সঙ্গে ঘি ভাত একেবারেই চলবে না। মুলো এবং ঘি একসঙ্গে খেয়ে ফেললে শুধু বদহজম নয়, পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে চরম পর্যায়ে।
- অনেকে বলেন চা-কফির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে ওজন কমে। একথা অবশ্য সত্যি। কিন্তু চা-কফির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে না খাওয়াই শ্রেয়। চা কিংবা কফির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাস এবং পেটের সমস্যা অবধারিত ভাবে দেখা দেবে। তাই ওজন কমানোর জন্য বাকি কসরত করুন, খাওয়া-দাওয়ায় পরীক্ষা নিরীক্ষাও করুন। কিন্তু চা-কফিতে ঘি মিশিয়ে খাওয়ার চিন্তা মাথায় না আনাই ভাল।
- গরম ভাতে ঘি, সঙ্গে একটা মুচমুচে মাছ ভাজা, আহা এমন খাবারের কথা শুনলেই জিভে জল আসতে বাধ্য। তবে মাছের সঙ্গেও ঘি খাওয়া উচিৎ নয়। মাছে হেলদি ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। আবার ঘিয়ের মধ্যেও রয়েছে প্রচুর ডেয়ারি ফ্যাট। তাই একসঙ্গে খেলে হজম করা বেশ কষ্টকর। অতএব ফ্যাট যুক্ত মাছের সঙ্গে ঘি না খাওয়াই শ্রেয়। বদহজমের সমস্যা মারাত্মক আকারে দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন- কমলা রঙের পরিবর্তে কালো গাজর খাওয়া কেন বেশি উপকারী?
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।