কলকাতা : পুষ্টিবিদরা হোক বা বাড়ির বড়রা, দুধ পান করার পরামর্শ দেন। রাতে শোওয়ার আগে অনেককেই দুধ পান করতে দেখা যায় । দুধকে খাদ্যের তালিকাভুক্ত করে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন। দুধ পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কেউ কাঁচা দুধ পান করেন, আবার কেউ ফোটানো। কিন্তু, কোন ধরনের দুধ বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিতে থাকেন।
কাঁচা দুধের উপকার ও ক্ষতি-
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক এনজাইম, মিনারেল এবং ভিটামিনের পাশাপাশি অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান কাঁচা দুধে পাওয়া যায়। তবে কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, কাঁচা দুধে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, গর্ভবতী এবং শিশুদের কাঁচা দুধ পান করা এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি ক্ষতিকারক হতে পারে।
ফোটানো দুধের উপকার ও ক্ষতি-
অনেক রিপোর্ট অনুসারে, ফরাসি মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং রসায়নবিদ লুই পাস্তুরই প্রথম দুধকে নিরাপদে পান করার জন্য ফোটানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দুধ ফুটিয়ে খেলে এর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু এর পাশাপাশি উপস্থিত স্বাস্থ্যকর এনজাইম, ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
প্যাকেটজাত দুধ পান করার আগে সামান্য গরম করা নিরাপদ। তবে ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে ফোটানো এড়িয়ে চলুন। এক গ্লাস দুধ মাঝারি আঁচে ৪-৫ মিনিটের মধ্যে যথেষ্ট গরম হয়ে যায়। এটা নিশ্চিত করবে যে দুধে প্রয়োজনীয় পুষ্টি অক্ষুণ্ণ থাকবে। আপনি একেবারে কাঁচা দুধ ফুটিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধকে পানযোগ্য করে তুলতে এবং এর পুষ্টিগুণ বাঁচাতে কাঁচা দুধকে অন্তত ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। এর চেয়ে বেশি দুধ ফোটানো এড়িয়ে চলা উচিত। এক গ্লাস দুধ কমপক্ষে ৪-৫ মিনিটের জন্য গরম করা উচিত, তারপরে এটি ঠান্ডা করে পান করা উচিত। এর ফলে ব্যাকটেরিয়াও মারা যায় এবং দুধের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংরক্ষিত থাকে।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।