কলকাতা: ফল খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু পেট সায় দেবে? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমন সমস্য়া অনেকেরই হয়। পছন্দের ফল খেলেই পেট ফুলে যাওয়া, গ্যাস এবং তা থেকে অস্বস্তি হয়ে থাকে অনেকের। এর পিছনে রয়েছে ওই নির্দিষ্ট ফলের কিছু উপাদান। যা হয়তো ওই ব্যক্তির শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু তাই বলে কি পছন্দের ফল বাদ রাখতে হবে? একেবারেই না। কিছু বিশেষ টিপস মেনে চললেই আর সমস্যা হবে না।
কোন কোন ফলে এমন সমস্যা হয়, আর সেক্ষেত্রে কী কী করা যায়, রইল তারই উপায়।
আপেল এবং কিছু বেরিজাতীয় ফল:
আপেল খাওয়া গোটা শরীরের জন্য উপকারী। তেমনই বেরিজাতীয় ফলও শরীরে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জোগায়। কিন্তু এই ফলেই অনেকের পেটে সমস্যা করে। গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে। অনেকসময় বাচ্চাদের ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও তৈরি করে।
কীভাবে সুরাহা?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন প্রথমে আপেল উষ্ণ জলে সেদ্ধ করে নেবেন। তারপরে তাতে হালকা গোলমরিচ, লবঙ্গ-দারচিনি ফেলে খেতে পারেন। এতকিছু সম্ভব না হলে সেদ্ধ করে খেলেও সমস্যা এড়ানো যাবে।
তরমুজ:
তরমুজ অনেকেই অত্যন্ত পছন্দের ফল। পুষ্টির দিক থেকেই খুব উপকারী তরমুজ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ থাকে। যাদের ফ্রুকটোজ পরিপাক করতে সমস্যা হয়, তাদের ক্ষেত্রে তরমুজ খেলে সমস্যা হতে পারে।
কীভাবে সুরাহা:
এক্ষেত্রে খাওয়ার আগে তরমুজে গোলমরিচের গুড়ো বা চাট মশলা জাতীয় জিনিস ছড়িয়ে দিন। গ্যাসের সমস্যা এড়ানো যাবে। ফুটি বা মাস্কমেলের ক্ষেত্রেও এই উপায় নিতে পারেন।
অ্যাপ্রিকট:
এই ফলের একাধিক গুণ রয়েছে। যাঁরা কড়া ডায়েট মেনে চলেন, তাঁদের অনেকে অ্যাপ্রিকট খেয়ে থাকেন। কিন্কু ফ্রুকটোজের সমস্যা এতেও হতে পারে। পেটে ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
কীভাবে সুরাহা:
আগের দিন রাত থেকে অ্যাপ্রিকট জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। গোটা রাত ভেজার পরে সকালে উঠে খুব বেশি হলে ২-৩টে খেতে হবে।
পিচ জাতীয় ফলের ক্ষেত্রে বা নাশপাতি ক্ষেত্রেও যদি পেটে সমস্যা হয়, তাহলে হালকা সেদ্ধ করে গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে নিলে সমস্যা এড়ানো যাবে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দূর করতে মেনে চলতে পারেন এই সাধারণ নিয়মগুলি