Low Blood Pressure: উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) সমস্যার জন্য অনেকেই প্রচুর নিয়ম মেনে চলেন। সঠিক খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে নিয়মিত শরীরচর্চা এবং তার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধপত্র খেতে হয়। কিন্তু অনেকেরই আবার নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেশারের (Low Blood Pressure)সমস্যা থাকে। অর্থাৎ রক্তচাপ কম থাকে। এই সমস্যাও কিন্তু একেবারেই অবহেলা করলে চলবে না। কারণ নিয়ম না মানলে লো ব্লাড প্রেশার থেকেও আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনিতেই যাঁদের লো ব্লাড প্রেশারের সমস্যা থাকে তাঁদের ক্ষেত্রে সারাক্ষণ ঝিমিয়ে থাকা, মাথা ঘোরা এইসব সমস্যা দেখা যায়। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ওষুধপত্র খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিনের জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চললেও নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা কমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কী কী করণীয় দেখে নিন একনজরে।


শরীর হাইড্রেটেড রাখতে হবে- শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে লো ব্লাড প্রেশারের সমস্যা দেখা যায়। তাই সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। তাহলেই আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকবে এবং লো ব্লাড প্রেশার হবে না। তবে শুধুই যে পানীয় জল খেতে হবে তা কিন্তু নয়। শরীরে জলের ঘাটতি মেটানোর জন্য প্রয়োজনে আপনি ডাবের জল কিংবা অন্য কোনও স্বাস্থ্যকর পানীয়ও খেতে পারেন। এর ফলেও আপনার শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক ভাবেই বজায় থাকবে।


সুষম আহার- খাবার খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন শরীরে কোনও কিছুর ঘাটতি না হয়। অর্থাৎ আপনি যা খাবেন সেখান থেকে যেন ভরপুর পুষ্টি পান, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এইসব গুরুত্বপূর্ণ মিনারেলস এবং ভিটামিন ও আয়রনের ঘাটতি হলে লো ব্লাড প্রেশারের সমস্যা হতে পারে। অতএব খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সুষম আহার করুন। এমন খাবার খান যা খেলে শরীরে কোনও ঘাটতি হবে না।  


নুন, ডিম সেদ্ধ, আলু এবং রসগোল্লা- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে খাবারে নুন মেপে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তবে লোব্লাড প্রেশার থাকলে সেই সমস্যা নেই। বরং শরীরে নুনের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। অনেকক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ডিম সেদ্ধ এবং আলু সেদ্ধ নুন দিয়ে খাওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে যেমন কাঁচা নুন খাওয়ায় বাধা থাকে, এক্ষেত্রে সেটা থাকে না। রসগোল্লা খাওয়ার পরামর্শও দেন অনেক ডাক্তার। তবে নিজে নিজে এসব টোটকা না মানাই ভাল। অবশ্যই তার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। 


আরও পড়ুন- কোলেস্টেরল দেখে চিন্তা? পাতে রাখুন এই আনাজ