Vitamin D Deficiency: মানব শরীরের জন্য সমস্ত ধরনের ভিটামিনই (Vitamins) গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে অন্যতম হল ভিটামিন ডি (Vitamin D)। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের যদি কোনওভাবে মানবদেহে ঘাটতি হয় তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে সমস্যার সমাধান করা যায়। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। সেগুলো কী কী, অর্থাৎ শরীরে ভিটামিন ডি- এর ঘাটতি হলে আমাদের কী কী করণীয় সেটা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।



  • সূর্যালোকে সময় কাটানো- সূর্যরশ্মির মধ্যে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন ডি। তাই এই ভিটামিন শরীরে কমে গেলে সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকুন। এর ফলে শরীরে ভিটামিন ডি- এর মাত্রা বাড়বে। কিন্তু অবশ্যই সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে নেওয়া প্রয়োজন। নাহলে ত্বকের বারোটা বেজে যাবে। ট্যানের ফলে নষ্ট হবে ত্বক। এছাড়াও সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রে- এর প্রভাব সরাসরি পড়বে ত্বকের উপর।

  • ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে- যেসব খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে সেইসব খাবার প্রতিদিনের মেনুতে রাখা প্রয়োজন। মাশরুম, ডিমের কুসুম, মাছ- এইসব খাবারে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। তাই শরীরে ভিটামিন ডি- এর ঘাটতি হলে এইসব খাবার অবশ্যই মেনুতে রাখতে হবে।

  • চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন- যদি একধাক্কায় শরীরে ভিটামিন ডি- এর পরিমাণ অনেকটা কমে যায়, তাহলে সময় থাকতেই সতর্ক হতে হবে। অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। আপনার শারীরিক অবস্থা অনুসারে চিকিৎসক যে সমস্ত ওষুধ দেবেন সেগুলো খেতে হবে। এ ব্যাপারে কোনও অনিয়ম করলে বিপদে পড়তে পারেন আপনি। হিতে বিপরীত হতে পারে। 

  • ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ কিছু খাবার- প্যেকট-জাত দুধ এবং কমলালেবুর রস, বেশ কিছু বিশেষ ধরনের ইয়োগার্ট, রেডি টু ইট সিরিয়ালস বা দানাশস্যেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই এই নির্দিষ্ট ভিটামিনের ঘাটতি হলে এইসব খাবারও খেতে পারেন।

  • ভিটামিন ডি ফর্টিফায়েড ফুড- এই জাতীয় খাবারের প্রসেসিংয়ের সময়ে তার মধ্যে ভিটামি ডি যুক্ত করা হয়। এই পদ্ধতিকে ফলে ফর্টিফিকেশন। অতএব এই পদ্ধতিতে যেসব খাবারের মধ্যে মূলত প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে ভিটামিন ডি যুক্ত করা হয় সেইসব খাবার খাওয়া যেতে পারে। এর ফলে দেহে ভিটামিন ডি- এর ঘাটতি মিটবে। 


আরও পড়ুন- মুখ ধুয়ে পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই মেনে চলা প্রয়োজন এই নিয়মগুলি