কলকাতা: আমাদের দেশে এবং গোটা বিশ্বে বর্তমানে প্রচুর মানুষ হার্ট অ্যাটাকে (Heart Attack) আক্রান্ত হচ্ছেন। বহু মানুষের প্রাণহানী হচ্ছে এই রোগের কারণেই। তাই এই অসুখটির সম্পর্কে আমাদের আরও বেশি করে সাবধান থাকা জরুরি। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বের প্রায় ১৭.৯ মিলিয়ন মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ প্রাণ হারিয়েছেন হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই অসুখ, এর লক্ষণ সম্পর্কে আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। যাতে কোনও লক্ষণ দেখা দিলেই সঠির সময়ে চিকিৎসা শুরু করা যায়। এর পাশাপাশি এমন চার লক্ষণের কথা জানাচ্ছেন তাঁরা, যা দেখা দিলে আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি কী কী?
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণই হল রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাঁদের অবশ্যই বিশেষভাবে সচেতন থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও যদি কখনও আচমকা রক্তচাপ বেড়ে যায়, তাহলে দ্রুত সাবধান হতে হবে। রক্তচাপ বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয় হার্ট অ্যাটাক, হার্টফেল এবং কার্ডয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি।
২. বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ কোলেস্টেরলও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে নিয়মিত কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান জরুরি। তার পাশাপাশা নজর রাখতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও।
৩. ওবেসিটি নানা জটিল অসুখের প্রকোপ এবং ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। হৃদরোগের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় এই অসুখের কারণে। শরীরের ওজন অত্যধিক বাড়তে থাকলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে অনেক অসুখই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৪. লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় মধুমেহ রোগ। যাঁদের শরীরে ইতিমধ্যেই মধুমেহ রোগ বাসা বেঁধে রয়েছে, তাঁরা বিশেষভাবে সচেতন থাকুন। আর প্রত্যেকের উদ্দেশে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রক্তে যাতে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।