কলকাতা: প্রয়াত টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। সোমবার রাতে শ্যুটিং চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পর গভীর রাতে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক তাপস রায়চৌধুরী জানান, বর্তমানে কম বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা ‌যায়। শুরু থেকেই ‌যাঁদের ডায়বেটিস বা লিভারের অসুবিধা থাকে, তাঁদের বাদে বাকি সবার অনিয়ন্ত্রিত জীবন ‌যাপনের জেরে হয়। ‌যাঁরা কর্মক্ষেত্রে খুব চাপে থাকেন তাঁদের একটু আগে থেকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।  


হার্ট অ্যাটাকই কি কারণ?


চিকিৎসক তাপস রায়চৌধুরী বলেন, এরকম ঘটনার সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। তবে এখন প্রাথমিকভাবে রোগের লক্ষণ বোঝা গেলে চিকিৎসা করা যাচ্ছে, আগে রোগটাই নির্ণয় করা যেত না। আমাদের জীবনযাপন, ডায়াবেটিসের মাত্রা, উচ্চরক্তচাপ এসব ৩০-৪০ বছরেও লোকে পাত্তা দেয় না। চিকিৎসা করায় না। কিন্তু সমস্যা সেখানেই। হার্ট অ্যাটাক অল্প বয়সেও হতে পারে। অতিরিক্ত ধূমপান, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত চাপ কিন্তু এই রোগের কারণ হতে পারে। তাই আগে থেকে সাবধান থাকা প্রয়োজন।"


আরও পড়ুন, 'যেখানেই থাকুক শান্তিতে থাকুক', অভিষেক-প্রয়াণে শোকবিহ্বল ঋতুপর্ণা


কী কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়? 


অন্যদিকে চিকিৎসক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, "অনেকের জেনেটিক এই রোগ থাকে। রক্তে স্নেহপদার্থ জমে যাওয়া অনেকের বংশানুক্রমিকও হয়। এটা আগে যদি নির্ণয় করা না যায় হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। আর পোস্ট কোভিড সময়ে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা বাড়ছে। তাই কোভিড হলে আগাম সাবধান হোন। বুকে ব্যথা হলেই সতর্ক হোন।" 


আরেক চিকিৎসক ধীমান কাহালি বলেন, "অনেকসময় দেখা যায় কমবয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অভিনেতার সঙ্গে যেটা হয়েছে তাঁর চেহারা দেখে মনে হয়েছে শারীরিকভাবে খুব বেশি অ্যাক্টিভ হয়তো ছিলেন না। এর থেকে কমবয়সেও হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। অনেক সময় অনিয়ন্ত্রিত হার্টবিটের সমস্যাতেও এমনটা হয়। যারা প্লেয়ার বা অ্যাথলিকদের এমন আচমকা মৃত্যু হয়। যেমনটা সম্প্রতি শেন ওয়ার্নের সঙ্গেও হয়েছিল। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন না করি, সুষম আহার করি, শরীরচর্চা করি দিনের কিছুটা সময়ে তাহলে এই রোগকে দূরে রাখা সম্ভব।"