Sundarban Mangrove Affected For Pollution: দূষণের জেরে এবার ক্ষতি হচ্ছে গোটা বিশ্বের গর্ব সুন্দরবনের। দূষণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আগেই। কিন্তু এখন তা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এল সেই ছবি। কানপুর আইআইটি ও বোস ইনস্টিটিউটের গবেষকরা যৌথভাবে এই নিয়ে গবেষণা করেন। দেখা গিয়েছে, দূষকের পরিমাণ বাড়ছে সুন্দরবন ম্য়ানগ্রোভ অরণ্যে। যার জেরে সেখানের বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 


দূষণ বাড়ছে কেন ?


দূষণের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কানপুর আইআইটির অধ্যাপক অভিনন্দন ঘোষ সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-কে বলেন, দূষণের পিছনে সেখানকার বাসিন্দারাও জড়িত। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তারাও নিরুপায়। ব্যাপারটা কীরকম ? বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন অভিনন্দনবাবু। তাঁর কথায় —



  • দূষণ মূলত ছড়াচ্ছে ওখানের বোটগুলি। বোটগুলির মটর এখনও পুরনো পদ্ধতিতে চলে। তাই যে জ্বালানি ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে ভারী বিষাক্ত দূষক পদার্থ থাকে। এগুলিই মূল দূষক।

  • এর বাইরে কেরোসিন ল্যাম্প জ্বালানো হয় এখনও সুন্দরবনের নানা গ্রামে। এর থেকে দূষণ বাড়ে।

  • কলকাতা ও মেট্রোপলিটন অঞ্চলের দূষক বাতাসে ভেসে সুন্দরবন এলাকায় পৌঁছে দূষণ ঘটায়।

  • এছাড়াও গাঙ্গেয় অববাহিকা থেকেও দূষক পদার্থ পৌঁছায় সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে। 

  • সেখানকার বাসিন্দদের এখনও নির্ভর করতে হয় কাঠকয়লার জ্বালানির উপর। দূষণের অন্যতম কারণ এটি।

  • এর পাশাপাশি রয়েছে ঘুঁটের জ্বালানি। তার থেকেও সমানভাবে দূষণ ছড়ায়।


সুন্দরবনের কী কী ক্ষতি হচ্ছে ?


সুন্দরবন শুধু মানুষের বাস্তুতন্ত্র নয়। এখানে বহু প্রাণী, পশুপাখির বাস। ক্ষতি হচ্ছে তাদের সকলেরই। পাশাপাশি জল, মাটি, গাছপালা, বাতাসের গুণমানও নষ্ট হচ্ছে দূষণের জেরে।


দূষণ থেকে সুন্দরবন বাঁচানোর উপায় ?


দশটি উপায়ের খোঁজ দিয়েছেন গবেষকরা। সরকারের তরফে উদ্যোগ নিলে এই উপায়গুলি কার্যকর করা সম্ভব। গবেষকদের এই পরামর্শের তালিকায় রয়েছে —



  • সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে গোটা সুন্দরবনে।

  • বায়ুশক্তিও উৎপাদন করা যেতে পারে এই এলাকায়।

  • ইলেক্ট্রিকচালিত যানবাহনেরসংখ্যা বাড়াতে হবে।

  • এলপিজি গ্য়াসে সাবসিডি দিতে হবে। যাতে আরও বেশি মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারেন।

  • দূষণ ছড়ায় এমন কারখানাগুলি বন্ধ করে দিতে হবে।

  • পর্যটনের কারণেও দূষণ ছড়াচ্ছে। তাই পর্যটন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

  • ডিজেলচালিত জেনারেটর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। দরকারে নিষিদ্ধ করতে হবে।

  • দূষক রয়েছে এমন পদার্থ পরিবহন বন্ধ করা জরুরি। 

  • ইটভাঁটাগুলি থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

  • সমুদ্র সৈকত অঞ্চলের দূষণে কড়া নজরদারি চালাতে হবে।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন -  CSIR Dress Code Explainer : কর্মীদের প্রতি সোমবার আয়রন করা পোশাক পরতে নিষেধ করছে এই সংস্থা, নেপথ্যে বৃহৎ কারণ !