কলকাতা: খবরের শিরোনামে হলিউড তারকা উইল স্মিথ। অস্কারের মঞ্চে সঞ্চালক ক্রিস রককে তাঁর কষিয়ে থাপ্পড় মারার ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নানা দিকে আলোচনা, সমালোচনার ঝড় উঠেছে যে, তিনি কীকরে অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মঞ্চে সঞ্চালককে চড় মারতে পারেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সঞ্চালক ক্রিস রক মঞ্চে নানা হাসির কথা বলছিলেন। সেখানেই তিনি উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটকে নিয়ে রসিকতা করেন। তিনি বলেন, 'আমি জি আই জেন-এর সিক্যুয়েলের অপেক্ষায় রয়েছি।' আর এই কথা শোনা মাত্র সটান মঞ্চে উঠে গিয়ে ক্রিসকে থাপ্পড় মারেন উইল স্মিথ। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, হলিউড তারকার স্ত্রী জাডা অ্যালোপেসিয়া রোগে আক্রান্ত। আর স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে মজা করা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি উইল স্মিথ। কী এই অ্যালোপেসিয়া? জেনে নেওয়া যাক এই অসুখ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।


কী এই অ্যালোপেসিয়া?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যালোপেসিয়া চুলের এক ধরনের অসুখ। যে অসুখে আক্রান্ত হলে অত্যধিক হারে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাঁদের মতে, এই রোগে বহু মানুষ আক্রান্ত হন। এই অসুখে আক্রান্ত মানুষদের প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ে যায়। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী আমাদের চুল পড়ে গেলে তা আবার গজিয়েও যায়। কিন্তু অ্যালোপেসিয়া রোগে আক্রান্তদের চুল সঠিক অনুপাতে গজায় না। পাশাপাশি চুলের ঘনত্বও পাতলা হতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চুলের এই অসুখের এখনও পর্যন্ত কোনও সঠিক চিকিৎসা বের হয়নি। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এই সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। 


আরও পড়ুন - Oscars 2022: অস্কারের মঞ্চে সঞ্চালক ক্রিস রককে উইল স্মিথের কষিয়ে থাপ্পড় মারার পিছনের গল্প কী?


অ্যালোপেসিয়া রোগের ঘরোয়া সমাধান-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যালোপেসিয়া অসুখটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাড়িতেই বেশ কিছু টোটকা মেনে চলতে পারেন। মাথার ত্বকে পেঁয়াজ, রসুনের রস ব্যবহার করা, ঠান্ডা গ্রিন টি, আমন্ড অয়েল, মধু, নারকেলের দুধ ব্যবহার করলে কিছুটা সমস্যার সমাধান হয়। 


অ্যালোপেসিয়া রোগের লক্ষণ-


অ্যালোপেসিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা বোঝার জন্য এই রোগের লক্ষণগুলি জেনে রাখা প্রয়োজন-
১. মাথার একেবারে উপরিভাগ থেকে ক্রমশ চুল পড়ে যেতে থাকে। কিন্তু চুল পড়ার অনুপাতে চুল গজায় না।
২. নখ শুকনো হয়ে যায়।
৩. চুলের ডগা ফাটতে শুরু করে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।