নয়াদিল্লি: হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে চিন্তা সবসময়ই থাকে। যে ব্যক্তির হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত কোনও না কোনও সমস্যা ইতিমধ্যেই রয়েছে, তার প্রতি রাখতে হয় বিশেষ খেয়াল। এবার একটি নতুন গবেষণাপত্র আরও স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিল আশঙ্কার বিষয়টি।
জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (Journal of the American Heart Association)-এ প্রকাশিত হয়েছে নতুন গবেষণাপত্রটি। সেখানে বলা হয়েছে। যে ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক (heart attack) এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (cardiac arrest) একসঙ্গে হয়েছে তাঁর ক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ৬ বছরের মধ্যে প্রাণঘাতী বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪৪৪ জন রোগীর তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে।
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে পার্থক্য কী?
হার্ট অ্যাটাক হল যখন হৃদপিন্ডে রক্ত যাওয়ার পথটি বন্ধ হয়ে যায় বা বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হল সেই অবস্থা যখন হৃদযন্ত্রের কাজ করতে সমস্যা হয় বা হঠাৎ করে হৃদস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যায়। দ্রুত চিকিৎসা না হলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রাণঘাতীও হতে পারে। যদিও অধিকাংশ হাঁট অ্যাটাক থেকেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় না। কিন্তু যদি কার্ডিয়াক অ্য়ারেস্ট হয়, সেক্ষেত্রে তার আগে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, যে রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এবং তারপরেই কার্ডিয়াক অ্য়ারেস্ট হয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে আরও বেশি শারীরিক জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা থাকে। যাঁদের শুধুমাত্র হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁদের তুলনায় যাঁদের হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট দুটি একসঙ্গেই হয়েছে তাঁদের হৃদস্পন্দনের সমস্যা বেশি হতে পারে। যাকে ভেন্ট্রিকুলার অ্যারিথমিয়া (ventricular arrhythmia) বলে। তাঁদের পরবর্তীকালে মৃত্যুর সম্ভাবনাও বেশি থাকে। এই ধরনের গবেষণা প্রথম হয়েছে বলেই দাবি লন্ডল ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষক দলের।
এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে যত্নবান হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ গাইডলাইনও তৈরি হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা। পাশাপাশি, এই রোগীদের ডায়েট বা খাদ্যতালিকাও যথেষ্ট খেয়াল রাখা প্রয়োজন।