কলকাতা : কফি (Coffee) খাওয়া ভালো নাকি খারাপ, এই নিয়ে অনেকের মনেই অনেকরকমের ধারনা রয়েছে। কেউ কফি খাওয়াকে স্বাস্থ্যকর বলেন তো কেউ বলেন ক্ষতিকর। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, কফি স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে। তেমনই কফি খাওয়ার সময় আমরা এমন অনেক ভুলভ্রান্তি করে থাকি, যার ক্ষতিকর প্রভাবও আমাদের শরীরে পড়ে। তাঁদের মতে, ইন্দ্রিয় সজাগ রাখতে, মুড ভালো রাখতে এবং মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে কফি। পাশাপাশি কফি বিনসে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস। যা বিভিন্ন ক্রনিক ডিজিজ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। তবে, এরই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কফি খাওয়ার সময়ে আমরা বেশ কিছু ভুলভ্রান্তি করে থাকি। যার ফলে স্বাস্থ্যকর পানীয় হয়ে ওঠে ক্ষতিকারক। তাই সেগুলো জেনে নেওয়া জরুরি।


১. পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন যে, একজন ব্যক্তির কখনওই সারাদিনে দু কাপের বেশি কফি খাওয়া উচিত নয়। ২৫০ মিলি কফি আমাদের শরীরে কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এর থেকে বেশি পরিমাণে কফি শরীরে গেলেই পেটে ব্যথা, হজমের গোলমাল, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, হৃদপিন্ডে রক্ত সঞ্চালন অনিয়মিত হয়ে পড়ার মতো সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অত্যধিক পরিমাণে কফি খেলে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়া, অনিদ্রা এবং সারাদিন ক্লান্ত লাগার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই কফি অবশ্যই খাবেন। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে খেলে তা আদতে স্বাস্থ্যের ক্ষতিই করবে বলে মত পুষ্টিবিদদের।


২. চিনিতে পুষ্টিগত গুণাগুণ প্রায় নেই বললেই চলে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। অনেকেরই কফিতে চিনি মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কফিতে যখনই চিনি মিশছে, তখনই তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে। চিনি মেশানো কফি খেলে ওবেসিটি, মধুমেহ প্রভৃতি অসুখের সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি এনার্জিরও ক্ষয় হয়। তাই পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, হয় আপনি কফি চিনি ছাড়া খান আর নাহলে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি কফিতে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।


৩. সারা বিশ্বে সবথেকে জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে পরিচিত কফি। যখনই আমাদের এনার্জির ঘাটতি দেখা দেয়, আমরা কফি খেতে পছন্দ করি। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন যে, কফি খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। দুপুরের খাবারের পর যদি কফি খাওয়া হয়, তাহলে তা স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলে।


 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।