কলকাতা: করোনার (Coronavirus) আতঙ্ক যেন কাটছেই না। নতুন বছরের শুরুতে হয়তো বিশ্বের সমস্ত মানুষই প্রার্থনা করেছিলেন করোনামুক্ত পৃথিবী। কিন্তু নতুন বছর শুরু হতে না হতেই ফের করোনার (Covid19) তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে। প্রতিদিন বহু মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। শারীরিক অবস্থার খুব অবনতি না হলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকছেন একটা বড় সংখ্যক মানুষ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে ওঠার সময় প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় জিঙ্ক সম্পন্ন, ভিটামিন সি সম্পন্ন এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকা খাবারগুলিকে রাখা দরকার তালিকায়। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোভিড রোগীদের খাদ্য তালিকায় এই সময়ে কোন কোন খাবার অবশ্যই রাখা প্রয়োজন। আর কেন।
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার সময় প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় জিঙ্ক সম্পন্ন খাবার রাখাটা খুবই জরুরি। এর জন্য প্রতিদিনের তালিকায় কুমড়োর বীজ, কাজুবাদাম এবং মাছ অবশ্যই রাখা দরকার বলে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এই সমস্ত খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সডেন্টস। যা ইনফেকশনের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
২. লেবুজাতীয় ফল, স্ট্রবেরি, পাকা পেঁপে, কিউয়ি, পেয়ারা প্রভৃতি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই খাবারগুলি। এছাড়াও নিয়মিত খাওয়া দরকার সবুজ শাকসব্জি।
আরও পড়ুন - Jaggery In Food: খাবারে কীভাবে গুড় ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যকরের সঙ্গে সুস্বাদুও হবে?
৩. যে সমস্ত খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে, সেগুলি কোভিড রোগীদের সেরে ওঠার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তার জন্য প্রতিদিন মাশরুম, ডিমের কুসুম, দই এবং দুধ রাখা দরকার তালিকায়।
৪. শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা কত তা আমাদের সকলেরই জানা। বাদাম, বীজ, দুগ্ধজাত খাবার, মুরগির মাংস, ডিম, মাছ প্রভৃতিতে প্রচুর প্রোটিন থাকে। কোভিড রোগীদের জন্য যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৫. এই সমস্ত খাবারের সঙ্গে নিয়মিত তুলসি পাতা, আদা, গোলমরিচ, রসুন, লবঙ্গ খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করা প্রয়োজন। ঠান্ডা লাগা থেকে শরীরকে রক্ষা করে এগুলি।
৬. কোভিড রোগীদের প্রচুর পরিমাণে জলীয় খাবার খাওয়া দরকার। নারকেলের জল এবং বিভিন্ন ফলের রস এই সময়ে খাদ্য তালিকায় রাখুন। কমলালেবুর রস, আমলকির রস, লস্যি এবং যেকোনও ফলের রস নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।