ঝিলম করঞ্জাই, সত্যজিৎ বৈদ্য ও প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা : একের পর এক রূপ ধরে করোনা থাবা বসিয়েছে বিশ্বে। নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে চিকিৎসাব্যবস্থার দিকে। চরিত্র বদলে, এরকম নতুন নতুন নামে বারবার হানা দিচ্ছে করোনা ভাইরাস। প্রতিবার মিউটেশনের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে সংক্রমণের রকমফের। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে এখন বদলে গেছে উপসর্গও। করোনার এই ভ্যারিয়েন্টগুলিই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিশ্বের দিকে।
- আলফা
- বিটা
- গামা
- ডেল্টা
- ওমিক্রন
আরও পড়ুন :
'ঘরে তো ফিরলাম, ভাত জোগাড় হবে তো?' চিন্তায় ঘুম উড়েছে উত্তর দিনাজপুরের পরিযায়ী শ্রমিকদের
চিকিৎসক পার্থসারথি ভট্টাচার্য জানালেন, ' আগেরগুলোর থেকে উপসর্গ পাল্টেছে। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে হচ্ছে, লোয়ার ট্র্যাকে কম সংক্রমণ হচ্ছে। আগামী দিনে কোথায় যাবে বলা মুশকিল' । চিকিৎসক ( কাজলকৃষ্ণ বণিক জানালেন, ' আগের ভ্যারিয়েন্ট গুলির কামড় গভীরে যাচ্ছিল। অর্গ্যান প্রভাবিত করছিল। সিটি স্ক্যান করলে বোঝা যাচ্ছিল। এবার সেই তুলনায় মৃদু হচ্ছে'
কী কী উপসর্গ বদলে গিয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ?
যেমন -
- করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় সংক্রমিতদের স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি পুরোপুরি চলে যাচ্ছিল।
- দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সেই উপসর্গের তীব্রতা কিছুটা কমে যায়।
- এখন দেখা যাচ্ছে, সংক্রমিতদের স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি কার্যত যাচ্ছেই না।
- করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সংক্রমিতদের ক্ষেত্রে সর্দি ছিল না, ছিল শুকনো কাশি।
- এখন দেখা যাচ্ছে, সংক্রমিতদের ক্ষেত্রে সর্দি-কাশি তো হচ্ছেই, অনেক ক্ষেত্রে বুকে কফও জমে যাচ্ছে।
- প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় আক্রান্তদের মধ্যে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও ক্লান্তির উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল। এবার যা কার্যত নেই।
- প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করোনা আক্রান্তদের ভীষণ জ্বর আসছিল।
- এবার দেখা যাচ্ছে জ্বর সেভাবে আসছে না, কিন্তু মাথা ব্যথা হচ্ছে বেশি।
- প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় মোট আক্রান্তের ১০ থেকে ১২ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। এবার এখনও পর্যন্ত এই হারটা এক শতাংশের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, করোনা ভাইরাস চরিত্র বদলে কখন যে কী চেহারা নেবে, সেটা কেউ জানে না। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতার ঢাল সরালেই বিপদ!