কলকাতা: গত দুটো বছর ধরে দেশ তথা গোটা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি চলছে। প্রতিদিন এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। সম্প্রতি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। তৃতীয় ঢেউতে রোজ বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তার সঙ্গে সংক্রমণ বাড়াচ্ছে করোনার অন্য ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনও। বিশেষজ্ঞরা এই সময় নিজের স্বাস্থ্যের দিকে বেশি নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। অন্য কোনও অসুখ যাতে এই সময়ে শরীরে বাসা বাঁধতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে বলছেন। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকেই উত্তরপ্রদেশে বেশ কিছু শিশু এনকেফালাইটিসে (Encephalitis) আক্রান্ত হয়। উত্তরবঙ্গেও বেশ কিছু শিশু এনকেফালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। কীভাবে বুঝবেন এনকেফালাইটিসে আক্রান্ত কিনা? কী এর লক্ষণগুলি? জেনে রাখা খুবই জরুরি।


আরও পড়ুন - Nutrition alert: সুস্থ থাকতে কোন বয়সের মহিলার প্রতিদিন কত পরিমাণ ক্যালশিয়াম দরকার?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এনকেফালাইটিস সবার প্রথমেই মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি করেয নানা কারণে এই অসুখ হতে পারে। তবে, তার মধ্যে প্রধান কারণ ভাইরাল ইনফেকশন। হালকা জ্বর, মাথার যন্ত্রণার মতো বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায় এই অসুখে আক্রান্তের মধ্য।


এনকেফালাইটিসের লক্ষণ-
১. মাথার যন্ত্রণা
২. জ্বর
৩. পেশি কিংবা গাঁটে ব্যথা
৪. ক্লান্তি এবং দুর্বলভাব
৫. খিটখিটে হয়ে যাওয়া
৬. হ্যালুসিনেশন
৭. চোখে ঝাপসা দেখা
৮. শরীরের কোনও একটি অংশে পক্ষাধাত হওয়া
৯. শোনা এবং কোনও কিছু পড়তে অসুবিধা হওয়া
১০. অনেকক্ষেত্রে রোগী কোমাতেও চলে যেতে পারে
১১. মাথা ঘোরা
১২. বমি


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এনকেফালাইটিসের মতো মারাত্মক অসুখ প্রাণঘাতীও বটে। এটি প্রতিরোধ করতে পরিচ্ছ্বন্নতা বজায় রাখা জরুরি। শিশুদের মধ্যে যেহেতু এই অসুখের সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাই ওদেরকে পরিচ্ছ্বন্নতা শেখানো প্রয়োজন। যেকোনও উপসর্গ দেখা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।