কলকাতা: শীতকাল (Winter) পড়লেই বহু মানুষের মধ্যে অলসভাব দেখা দেয়। কোথাও যেতে কিংবা কিছু কাজ করতে ইচ্ছে করে না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা শীতকালের এই অলসতা কাটাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীর এবং মনকে চাঙ্গা রাখতেও সাহায্য করে।


পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য তার প্রভাব শুধুমাত্র আমাদের শরীরেই পড়ে না। পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যেও। শীতকালের ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে বহু মানুষের মধ্যে যে অলসভাব দেখা দেয়, তা কাটিয়ে দিতে পারে বেশ কিছু খাবার। শরীর ও মনকে চাঙ্গা করতে এই পরিস্থিতিতে কোন কোন খাবার নিয়মিত খাওযা যেতে পারে (Winter Foods), সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, যে সমস্ত খাবারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে, সেগুলি অলসভাব কমিয়ে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।


১. অ্যাভোক্যাডো- প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদানে সম্পন্ন এই ফল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এতে যে সমস্ত উপাদান রয়েছে, যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অ্যাভোক্যাডো খাবারের তালিকায় রাখলে উপকার পাওয়া যায়। স্ন্যাকস হোক কিংবা স্যালাড কিংবা স্মুদি তৈরি করেও খেতে পারেন।


২. বেরি- মস্তিষ্কে রক্ত সঠিকভাবে চলাচলে সাহায্য করে বেরি। প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান থাকায় এটি মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।


আরও পড়ুন - Face Yoga: সৌন্দর্য ধরে রাখতে দারুণ উপকারী মুখের যোগাসন, কীভাবে করবেন?


৩. ডার্ক চকোলেট- বাচ্চা থেকে বড়, চকোলেট খেতে পছন্দ করেন সকলেই। সেটা মিল্ক চকোলেট হোক কিংবা ডার্ক চকোলেট। শুধু জিভের স্বাদই পূরণ করে না। ডার্ক চকোলেট শরীরের জন্যও খুবই উপকারী। ক্লান্তি, অলসতা দূর করে। মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল সঠিক রাখতে সাহায্য করে।


৪. ডিম- প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন তাকায় ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। স্মৃতিশক্তি উন্নত করে ডিম। যেকোনও প্রকারে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।


৫. সবুজ শাক-সব্জি- স্বাস্থ্যের উপকারে সবুজ শাক-সব্জির কোনও বিকল্প নেই। মস্তিষ্ক সচল রাখার পাশাপাশি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। শীতকালে বাজারে হরেক রকমের সব্জি পাওয়া যায়। ক্যাপসিকাম, বিনস, ব্রকোলি, পালং শাক নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।