কলকাতা : বহু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পাঁচজনের মধ্যে চারজনেরই চোখের (Eye) এমন বেশ কিছু সমস্যা থাকে, সময় থাকলে চিকিৎসা করালে যার সমাধান সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে, দেশের আশি শতাংশ মানুষের দৃষ্টিহীনতার সমস্যা সম্ভব হয়, যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা করানো হয়। এছাড়াও চোখ সুস্থ রাখতে বা দৃষ্টিশক্তি উন্নত রাখতে আমাদের লাইফস্টাইলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। তাতে অকালে দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে না। 


ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু-এর তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বয়সজনিত কারণ, মধুমেহ রোগ এবং অন্যান্য অসুখের কারণ ছাড়াও অনিয়মিত লাইফস্টাইল এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেও বহু মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন অকালে। লাইফস্টাইলে বা অভ্যাসে কী কী পরিবর্তন নিয়ে আসলে চোখ সুস্থ থাকবে, তা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


১. প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর শাক-সব্জি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সবুজ শাক-সব্জি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও প্রতিদিন টাটকা ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।


২. চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর ধূমপান। নিয়মিত ধূমপানের ফলে দৃষ্টিশক্তি এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয় যে তা সমাধানের আর কোনও রাস্তা থাকে না।


৩. সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির হাত থেকে চোখকে রক্ষা করতে চশমা বা সানগ্লাস পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


৪. করোনা পরিস্থিতিতে বেড়ে গিয়েছে কাজের চাপ। বাড়িতে বা অফিসে সারাক্ষণই কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইলে চোখ রেখে কাজ করে যেতে হচ্ছে। এতে চোখের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, টানা কাজের মাঝে কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে অন্তত ২০ মিনিট অন্তর চোখ সরিয়ে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন।


৫. সকালে সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকালে চোখ ভালো থাকে। এমন কথা আমরা ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের কাছে শুনে থাকি। চোখ সুস্থ রাখতে বয়সকাল পর্যন্ত আমাদের এই অভ্যাস জারি রাখা প্রয়োজন।


৬. চোখে হাত দেওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নেওয়া দরকার।


৭. নিয়মিত চোখের চেকআপ করানো দরকার। যাতে অল্প কোনও সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়।


 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।