কলকাতা: প্রায় সব ঘরেই রয়েছে হাঁটুব্যথার (knee pain) সমস্যা। অনেক পরিবারেই বয়স্ক সদস্যরা হাঁটুর ব্যথায় ভুগে থাকেন। বার্ধক্যে পৌঁছলেই বাড়তে থাকে হাঁটুর ব্যথা। মাটিতে বসতে সমস্যা হয়। হাঁটাচলা করাও অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। কখনও কখনও হাঁটু ফুলে যায়, কারও ক্ষেত্রে হাঁটু ভাঁজ করতেও সমস্যা হয়। মুঠো মুঠো ব্যাথার ওষুধ খেয়ে ব্যাথা কমালেও শরীরে হতে পারে অন্য সমস্যা। সেক্ষেত্রে হাঁটুব্যথা থেকে সাময়িক আরাম পেতে ভরসা করা যেতে পারে ঘরোয়া কিছু টোটকায়। উপকরণও মিলবে হাতের কাছেই। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেগুলি।


ঠান্ডা-গরম সেঁক
 ঠান্ডা ও গরমের সেঁক দিলে ব্যথার জায়গায় আরাম পাওয়া যায়। গরম সেঁক মাংসপেশিকে আরাম দেয়, সচল করতে সাহায্য করে। গরম জলের বোতল, ব্যাগ বা বৈদ্যুতিক প্যাডের (heatpad) মাধ্যমে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। ঠান্ডা সেঁক ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। বরফের মাধ্যমে ঠান্ডা সেঁক দেওযা যায়। তবে কী ধরনের ব্যাথা রয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে সেঁকের ধরন বদলায়।   


আদায় আরাম
আদায় (ginger) প্রদাহরোধী উপাদান জিঞ্জারোল (gingerol) রয়েছে। ব্যাথার জায়গায় আদা-তেল মালিশ করে সাময়িক উপকার মিলতে পারে। আদা-চা খাওয়া যেতে পারে। গরম জলে আদা ফুটিয়ে সেই জল পান করলেও কিছুটা সুরাহা হতে পারে।


ভরসা যখন তুলসি
আর্থারাইটিস সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে তুলসির উপযোগিতা রয়েছে। প্রদাহ বা ব্যাথানাশক হিসেবেও ব্যবহার হয়। গাঁটের ব্যথা (joint pain) কমাতেও উপকারী। নিয়মিত তুলসি-চা খেলে উপকার মিলতে পারে।


ব্যথা কমাবে তেঁতুল
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে তেঁতুলের (turmeric) নানা গুণের কথা বলা রয়েছে। তেঁতুলে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে। প্রদাহরোধী উপকরণও রয়েছে তেঁতুলে। এই ফলে রয়েছে কারকামিন (curcumin) নামে এক যৌগ। যার একাধিক ঔষধিগুণ রয়েছে। আধচামচ আদা এবং তেঁতুল এক কাপ জলে মিনিট দশেক ফুটিয়ে সেটা দিনে দুবার পান করলে ব্যথা থেকে বেশকিছুটা আরাম পাওয়া যেতে পারে। 


বিশেষ নুনে মিলবে আরাম
এপসম নুন (epsom salt) ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। গাঁটের ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে ব্যবহার হয় এই পদার্থ। এপসম সল্টে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং সালফেট, যেদুটিই ব্যাথানাশক। স্নানের জলে এক চামচ এপসম সল্ট মিশিয়ে নিয়মিত স্নান করলে বা হাঁটুতে ঢাললে আরাম মিলতে পারে।


প্রয়োজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ঘরোয়া টোটকায় আরাম মেলে। সঙ্গে হালকা ব্যায়ামও করা যায়। তবে ব্যায়াম করার আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে হাঁটুর ব্যথায় ভুগলে দেরি না করে ডাক্তার দেখানোও অত্যন্ত প্রয়োজন।


আরও পড়ুন: 'এটা-ওটা খাবেন না' করে পুষ্টি থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন না তো ! বয়স্কদের এই নিয়ম না মানলেই বিপদ


আরও পড়ুন: তিরিশ পেরোলে দূরে রাখুন নেশা, নজর থাকুক খাওয়া দাওয়ায়