কলকাতা: সম্প্রতি জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে প্রায় দু হাজার কুকুর (Dog) মারাত্মক পার্ভো ভাইরাসে (Parvo Virus) আক্রান্ত হয়েছে। কুকুরের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর একটি অসুখ এই পার্ভো। বিশেষ করে ৬ থেকে ৮ মাসের কুকুর এই অসুখে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়। সঠিক সময়ে চিকিতসা শুরু না করলে পার্ভো ভাইরাসে প্রাণহানীও হতে পারে। তাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলি জেনে রাখা খুবই জরুরি।


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কুকুরের বয়স যখন ৬ মাস, সেই সময়ই পার্ভো ভাইরাসের ভ্যাকসিন করানো প্রয়োজন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যদি সঠিক সময়ে চিকিতসা শুরু না করা যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৯১ শতাংশ থাকে। তাই সবার আগে জেনে নেওয়া যাক কুকুরের মধ্যে কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন সেটি পার্ভো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে-


১. বিশেষজ্ঞদের মতে, পার্ভো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে কুকুরের মধ্যে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। যার মধ্যে অন্যতম ডায়রিয়া। রক্ত পায়খানা এবং রক্ত বমিই প্রধান এবং প্রাথমিক লক্ষণ।


২. পার্ভো ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরের মধ্যে এনার্জির অভাব দেখা দেয়। সাধারণ ঝিমিয়ে থাকতে দেখা যায়।


আরও পড়ুন - Health Tips: শীতকালে কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হয়েছে?


৩. রক্ত বমি ও পায়খানার সঙ্গে জ্বরও থাকে।


৪. আচমকা শরীরের অনেকটা ওজন কমে গেলে চিন্তার বিষয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


৫. এই সময়ে কুকুরের মধ্যে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়।


৬. চোখ এবং মুখের আশেপাশের কোষগুলির রঙ লালচে হয়ে উঠতে থাকে।


৭. পার্ভো ভাইরাসে কুকুরের হৃদ স্পন্দন অনেকটা বেড়ে যায়।


৮. সারা গায়ে ব্যথা অনুভব হয় এই সময়ে ওদের।


৯. শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম থাকে।


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পার্ভো ভাইরাস অনেকটাই ছোঁয়াচে রোগ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনও কুকুরের সংস্পর্শে এলে সেই কুকুরও আক্রান্ত হতে পারে। তাঁদের মতে, এই ভাইরাস মাটির মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে থাকতে পারে। তাই পার্ভো ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরের মল মূত্র বা বমি মাটিতে ফেলা সঠিক নয়।


চিকিতসকদের মতে, পার্ভো ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরদের মধ্যে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। তাই এই সময়ে ওদের শরীরে জলীয়ভাব বজায় রাখা খুবই জরুরি। লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিতসকের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং প্রয়োজনে হাসপাতালেও ভর্তি করা প্রয়োজন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।