কলকাতা: স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডিমের (Egg) উপকারিতা অনেক। প্রোটিনের পাওয়ার হাউজ বলা হয় একে। একটা বড় সংখ্যক বাড়িতে ব্রেকফাস্টে কিংবা দিনের অন্যান্য সময়ে ডিম খাওয়া হয়ে থাকে। বাচ্চা থেকে বড় সকলেরই পছন্দের খাবার ডিম। এছাড়াও অনেক উপকারী গুণাগুণ থাকার কারণে চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদরাও নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু যাঁদের শরীরে মধুমেহ রোগ বাসা বেঁধে রয়েছে, তাঁরা কি ডিম খেতে পারেন? পাশাপাশি, অনেকেই দিনে একটার বেশি ডিম খান। মধুমেহ (Diabetes) রোগীরা কি দিনে একটা বেশি ডিম খেতে পারেন? মধুমেহ রোগীদের ক্ষেত্রে ডিম শরীরে কী প্রভাব ফেলে? তা স্বাস্থ্যকর নাকি ক্ষতিকর? এছাড়াও, যাঁরা ডিম খেতে পছন্দ করেন। নিয়মিত ডিম খান, তাঁরা দিনে কতগুলো ডিম খেতে পারেন। দিনে একটার বেশি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর? জেনে নেওয়া খুবই জরুরি।


সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউটিরিশনে একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। একটি সমীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল সম্প্রতি। সেই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন বিভিন্ন পয়েছে প্রায় আট হাজার মানুষ। সমীক্ষার শেষে দেখা যায়, অংশগ্রহণ করা মানুষদের মধ্যে একটা বড় সংখ্যক মানুষ যাঁরা দিনে একটার বেশি ডিম খেয়েছিলেন, তাঁদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছেয শুধু গ্লুকোজই নয়, যাঁরা বেশি সংখ্যক ডিম খেয়েছিলেন, তাঁদের শারীরিক সক্ষমতা তুলনায় কম দেখা গিয়েছে সমীক্ষায়।


আরও পড়ুন - Hypnic Jerk: ঘুমের মধ্যে আচমকা ঝাঁকুনি অনুভব হচ্ছে? কেন হয় এমন?


সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত হওয়ার তথ্যের উপর নির্ভর করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দিনে একটার বেশি ডিম খেলে বাড়তে পারে মধুমেহ রোগের ঝুঁকি। তাঁদের মতে, ডিমের কুসুমে এক ধরনের উপাদান পাওয়া গিয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।


আমরা সকলেই জানি ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এছাড়াও থাকে কার্বোহাইড্রেট। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের সাদা অংশ শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। কিন্তু ডিম যদি কুসুমের সঙ্গে খাওয়া হয়, কিংবা মাখন, তেল, চিজের সঙ্গে খাওয়া হয়, তাহলে বাড়তে পারে ওজন, কোলেস্টেরল এবং বাড়তে পারে মধুমেহ রোগের ঝুঁকি। তাই সুরক্ষিত থাকার জন্য প্রতিদিন দুটো করে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও ডিম খাওয়ার সবথেকে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে সেদ্ধ করে। তার সঙ্গে অল্প নুন, গোলমরিচ, ধনেপাতা দিয়ে খান। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।