Heart And Kidney Disease In Diabetes: সুগার একটি মেটাবলিক রোগ। অর্থাৎ এই রোগে আমাদের মেটাবলিজম ঠিকমতো কাজ করে না। মেটাবলিজম ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক হল ইনসুলিন। ডায়াবেটিস রোগীদের এই ইনসুলিন ক্ষরণে সমস্যা হয়। এর ফলে রক্তে সুগার বেড়ে যায়। যা বিপজ্জনক মাত্রা পেরিয়ে গেলে রোগীর বিপদ হতে পারে। সুগারে তাই খাবার বুঝেশুনে খেতে বলা হয়। সুগারে (Diabetes Issues) ক্যালোরি বুঝে খাবার না খেলেই বিপদ বাড়ে।
কেন ক্ষতি হয় হার্ট ও কিডনির ?
সুগার থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের রোগ হতে পারে। যেমন প্রথমেই হার্ট ও কিডনি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জেনে নেওয়া যাক তার কারণ।
- হার্ট - অতিরিক্ত সুগারজাতীয় খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। যা হাই প্রেশার থেকে হার্টের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি হার্টের বিপদও ঘটতে পারে।
- কিডনি - রক্তে বেশি চিনি থাকলে রক্তনালিগুলি ধীরে ধীরে সরু হয়ে যায়। এর ফলে সেখানে রক্ত বাধা পেতে থাকে। যা আস্তে আস্তে কিডনিকে নষ্ট করে দেয়। অন্যদিকে প্রস্রাব বেশিক্ষণ মূত্রথলিতে জমা থাকলেও বিপদ। কারণ মূত্রথলিতে এর ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়।
হার্ট ও কিডনি ভাল রাখার উপায়
১. ওজন নিয়ন্ত্রণ - সুগারের সমস্যা থাকলে ওজন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। তা না হলে হার্ট ও কিডনির উপর আরও খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। অতিরিক্ত ওজনের জেরে কিডনির সমস্যা দ্রুত দেখা দেয়।
২. নিয়মিত শরীরচর্চা - হার্ট ও কিডনির কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে শরীরচর্চা না করলেই নয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে রক্ত চলাচলের গতি বাড়ে। এর ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরে যায় দ্রুত।
৩. ফাইবারজাতীয় খাবার খাওয়া - ফাইবারজাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। এই ধরনের খাবার ইনসুলিনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা - অতিরিক্ত ক্যাালোরিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া যাবে না। সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই বিশেষ পরামর্শটি দিয়েথাকেন চিকিৎসক। আর সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকলেই হার্ট ও কিডনি সুস্থ রাখা যায়।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Ivy Gourd Kudri Benefits: ক্লান্তি, দুর্বলতা দূর করে নিমেষে, কুঁদরির গুণে সারে এইসব রোগও!
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।