কলকাতা : এ দেশে প্রতিটি গৃহস্থের রান্নাঘরে দারচিনির (Cinnamon) নিজস্ব আলাদা জায়গা রয়েছে। এতে খাবারের স্বাদ (Taste of Food) দ্বিগুণ হয়ে যায়। পাশাপাশি এটি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাও দূর করার ক্ষমতা রাখে। খাদ্যতালিকায় দারচিনি যোগ করলে তা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। হৃদরোগের ঝুঁকিও কম হয়। এছাড়া এর আরও অনেক সুবিধা রয়েছে। কিন্তু জানেন কি এর ফলে স্বাস্থ্যের অনেক বড় ক্ষতিও হতে পারে। এটি লিভার-সহ অন্যান্য অঙ্গকে (Organ) প্রভাবিত করতে পারে।


তাই আপনি যদি দারচিনি খান, তাহলে জেনে নিন এর অন্যদিকটাও...


রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর ক্ষমতা রয়েছে দারচিনির। তাই আপনি যদি সুগার কমানোর ওষুধের সাথে দারচিনি খান, তবে এটি আপনার রক্তে শর্করাকে অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে। যে কারণে আপনার শরীর ক্লান্ত বোধ করতে পারে। সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে।


অতিরিক্ত পরিমাণে দারচিনি খেলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। দারচিনিতে উপস্থিত সিনামালডিহাইড গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। হাঁপানি রোগীদের দারচিনি ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকা উচিত। কারণ এটি ক্রমাগত কাশি এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।


দারচিনি হজম (Digestion) প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। কারও কারও দারচিনির অত্যধিক ব্যবহারে পেট জ্বালা করতে পারে। এটা শুধু বেদনাদায়কই নয়, পাকস্থলীর আলসার এবং ক্যান্সারের কারণও হতে পারে। গ্যাস্ট্রোপেরেসিস রোগীদের দারচিনি খাওয়া কমানো উচিত। কারণ, শরীর সহজে হজম করতে পারে না। 


দারচিনিতে কুমারিনের পরিমাণ অনেক বেশি। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, শরীরে কুমারিনের আধিক্যের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, কুমারিন যুক্ত খাবার খেলে ফুসফুস, লিভার ও কিডনি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


বেশি পরিমাণে দারচিনি খেলে মুখে ঘা হতে পারে। আসলে দারচিনিতে Cinnamaldehyde থাকে। এটি একটি যৌগ যা অতিরিক্ত খাওয়া হলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এটি শুধুমাত্র মুখের অ্যালার্জির কারণ নয়, অন্যান্য উপসর্গও দেখা যায়। যেমন- জিব বা মাড়ি ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া বা চুলকানি, মুখে সাদা দাগ হতে পারে।


আরও পড়ুন ; জন বাড়ছে ? জানুন দারচিনির এই উপকারিতা


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।