কলকাতা : মশলা (Spice) যে শুধুমাত্র খাবারের স্বাদই বাড়ায়, তা নয়। মশলা আমাদের স্বাস্থ্যেরও অনেক উপকারে কাজে লাগে। যেমন একটা উদাহরণ আমরা দিতেই পারি। হলুদ। আদতে রান্নায় মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হলেও হলুদের উপকরিতা অনেক। স্বাস্থ্যের উপকারে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একগ্লাস করে হলুদ দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তেমনই পুষ্টিবিদরা এমন কয়েকটা মশলা রোজকার খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।


পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালে যখন কফি খাচ্ছেন, তখন তার উপর অল্প করে দারুচিনির গুঁড়ো ছড়িতে দিতে পারেন। কিংবা হয়তো পাস্তা খাচ্ছেন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন একমুঠো টাটকা বেসিল পাতা কুঁচি। দেখবেন, এগুলোর মিশ্রণে আপনার খাবারও যেমন আরও সুস্বাদু হয়ে উঠলো, তেমনই উপকারীও হয়ে উঠল।


১. দারুচিনি যে শুধু খাবারে সুগন্ধের জন্য ব্যবহার করা হয়, তা নয়। খাবারে দারুচিনি ব্যবহার করলে তা আমাদের শরীরে অ্যান্ট অক্সিডেন্টস হিসেবেও কাজ করে। এছাড়া, রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থেকে ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করার জন্য দারুণ উপকারী দারুচিনি। করোনা পরিস্থিতিতে যেটা সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয়, সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে দারুচিনি। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন এমনটাই।


২. হলুদের কথা তো আগেই আমরা জানলাম। পুষ্টিবিদরা আরও জানাচ্ছেন, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে হলুদ। এছাড়া অবসাদ প্রতিরোধ করতে এবং আর্থারাইটিসের সমস্যা প্রতিরোধ করতেও দারুণ উপকারী হলুদ।


৩. ওজন কমাতে, ত্বকের নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে, হজমের উপকারিতায় দারুণ উপকারী গোলমরিচ। রোজকার খাবারে ব্যবহার করলে স্বাদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন সি-এর ঘাটতিও মেটায়।


৪. ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করার জন্য উপকারী এলাচ। খাবারে আমরা প্রায়ই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এলাচ শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখার জন্য সাহায্য করে।


৫. কাশি-সর্দির সমস্যা হলেই আমাদের মায়েরা আদা খাওয়ার পরামর্শ দেন কিংবা আদা দিয়ে চা বানিয়ে দেন। আদার গুণাগুণ অনেক। প্রতিদিনের খাবারে আদার ব্যবহার ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি মস্তিষ্ক সচল রাখতেও সাহায্য করে।


 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।