Lunch: আমরা সকলেই জানি সকালে জলখাবার বা ব্রেকফাস্ট (Breakfast) বাদ দিলে অর্থাৎ না খেলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে আমাদের শরীরে। একইভাবে সমান গুরুত্ব দিয়ে কিন্তু আমাদের লাঞ্চ (Lunch) বা দুপুরের খাবার খাওয়াও প্রয়োজন। নাহলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে। কেন প্রতিদিন নিয়ম করে দুপুরের খাবার খাবেন বা লাঞ্চ করবেন, না করলে কী কী সমস্যা হতে পারে, এইসব নিয়েই আলোচনা করা হল। 


প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের মতো নিয়ম করে লাঞ্চও খাওয়া দরকার



  • সকালের খাবারের পর অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে গ্যাসের এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দুপুরের খাবার বা লাঞ্চও একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। কাজের চাপে খেতে ভুলে যাচ্ছেন, বা অসময়ে খাচ্ছেন এটা করা চলবে না। 

  • সারাদিন আমরা বিভিন্ন কাজ করি। সকালে একবার জলখাবার খেয়ে নিলে কিছুটা এনার্জি বা শক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শক্তি ক্ষয়ও হয়। তাই দুপুরবেলা সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া উচিত। নাহলে কাজ করার শক্তি পাওয়া যাবে না। তাই যাঁরা অফিসে থাকেন, তাঁরা একেবারেই লাঞ্চ বাদ দেবেন না। 

  • সকালে জলখাবার না খেলে যেমন ওজন বৃদ্ধি পায়। খালি পেটে থাকার ফলেই এই ওজন বাড়ে। তেমনই যদি আপনি দুপুরের খাবার সঠিক ভাবে না খান, তাহলেও ওজন বাড়তে পারে।

  • দুপুরে অর্থাৎ লাঞ্চে ঠিকভাবে খাবার খাওয়া না হলে খিদে থাকে। ফলে ডিনার বা রাতে আমরা হয়তো বেশি খেয়ে ফেলি। কিংবা সন্ধেবেলা অনেককিছু খাবার খাওয়া হয়ে যায়। এই ওভার ইটিংয়ের অভ্যাস আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

  • সঠিক সময়ে দুপুরের খাবার খেলে এবং সঠিক খাবার খেলে আপনার দেহের মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি পায়। এর ফলে আপনি চাঙ্গা এবং সুস্থ থাকেন। কাজ করার ক্ষমতাও বাড়ে।

  • অফিসে বা স্কুল কলেজে থাকলেও দুপুরের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। যতই চাপ থাক সময়ে লাঞ্চ করে নেওয়া প্রয়োজন। নাহলে আপনার শরীর পরিশ্রমের ফলে ক্লান্ত এবং অবসন্ন হয়ে যাবে। আপনি আর কাজ করার এনার্জি পাবেন না।

  • দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে বদহজমের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই সকালের জলখাবার খাওয়ার পর দুপুরবেলাতেও সময়ে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। নাহলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন আপনি। 

  • অনেকেই ডায়েটিং করার নামে খাবার না খেয়ে থাকেন। সকালে জলখাবার খান না। দুপুরে লাঞ্চের ক্ষেত্রেও প্রায় না খাওয়ার মতো থাকেন। এমন অভ্যাস বজায় রাখলে দ্রুত অসুস্থ হয়ে যাবেন আপনি। তাই সময় থাকতেই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।


আরও পড়ুন- বাস্তুর এই নিয়মগুলি না মানলে সংসারে নেমে আসতে পারে দারিদ্র !