কলকাতা : সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর ৪০ টি সপ্তাহ  মা ও গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকুন, এই দিকে আগাগোড়া নজর রাখেন চিকিৎসকরা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় ব্লাড প্রেসারের সমস্যা কীভাবে মা ও শিশুর ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন , স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রশান্তকুমার নাথ বারভুইঞা ও ডা. রিনি সাহা। 


ডা. বারভুইঞা  জানালেন, গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। কারও কারও আবার সমস্যা থাকে ক্রনিক হাইপার টেনশনের (Hyper Tension)। তাঁদের গর্ভধারণের শুরু থেকেই কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন -



  • নিয়মিত ব্লাড প্রেসার (BP) মাপা

  • নুন কম খাওয়া 

  • বারবার বাচ্চার অবস্থা পরীক্ষা করে নেন চিকিৎসকরা 

  • গর্ভধারণ কালে সাধারণ প্রেসারের ওষুধ কিন্তু চলে না, দরকার বিশেষ ওষুধ বিশেষ ডোজে। তা নিয়মমাফিক সময় মেনে শুরু করা জরুরি। 

    কিছু কিছু ক্ষেত্রে মায়েদের ক্রনিক ব্লাড প্রেসারের সমস্যা থাকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে গর্ভধারণের পরই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা বাড়ে। তাকে  বলে জেসটেশনাল হাইপারটেনশন। এক্ষেত্রে ইউরিনের সঙ্গে কোনও প্রোটিন বের হয় না। ডা. রিনি সাহা জানালেন,   গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের পর যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ও প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন নিঃসরণ হয়, তখনই প্রি-এক্লাম্পসিয়া র রোগী বলা হয়ে থাকে।

    কাদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে ? 



  • অপুষ্টির সমস্যা 

  • ডায়াবেটিসের রোগী

  • কিডনি রোগী

  • থাইরয়েডের সমস্যা

  • ওজনাধিক্য

  • পরিবারে গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস থাকলে 

    আরও পড়ুন :

    ব্লাড সুগারের রোগী? শরীর কাঁপছে? অত্যধিক ঘাম? হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ কিন্তু



    কোন পরীক্ষায় ধরা পড়ে এই রোগ ? 

     প্রি-এক্লাম্পসিয়া নির্ণয় করতে

  •  ব্লাড প্রেসার মনিটর করা অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে মেনটেইন করতে হবে চার্ট।

  • মূত্রে প্রোটিনের উপস্থিতি টেস্ট করা হয়ে থাকে। 

     যদি ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয়, এর ফলে

  •  খিঁচুনি দেখা যেতে পারে

  • হতে পারে প্রাণ সংশয়ও । 

  • গর্ভস্থ শিশু ঠিকঠাক বাড়ে না 

  • শিশু যে জলীয় পদার্থে ভেসে থাকে তা শুকিয়ে যেতে পারে । 

    ঠিক সময় চিকিৎসা না হলে, গর্ভের শিশুর ক্ষতি এড়ানো কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে প্রি-টার্ম ডেলিভারিও করাতে হতে পারে।