কলকাতা: বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট পরিমাণ বাদাম খেতে। চিনাবাদাম, আখরোট থেকে আমন্ড- বিভিন্ন ধরনের বাদাম রয়েছে। প্রায় সবকটি বাদামেরই কমবেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থেকে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, আরও একাধিক প্রয়োজনীয় পোষকপদার্থ রয়েছে বাদামে। এর মধ্যে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এবং বহুল প্রচারিত বাদাম হল আমন্ড। কিন্তু একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ যে কোনও বয়সেই কি একই পরিমাণ আমন্ড খেতে পারেন? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এক এক ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে আমন্ড খাওয়ার পরিমাণ।


নানা উপকারিতা:



  • ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ থেকে আরও একাধিক গুরুতর রোগ ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে আমন্ডের পুষ্টিগুণ।

  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ভাল রাখতেও সাহায্য করে আমন্ড।

  • ভিটামিন ই-তে ভরপুর এই বাদাম। রয়েছে একাধিক প্রয়োজনীয় খনিজ।

  • ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার রয়েছে আমন্ডে।

  • এতেরয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন।   


ইঙ্গিত সমীক্ষাতেও:
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে  প্রতিদিন আমন্ড (Almond) খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ভাল রাখে পেটও। butyrate-নামক এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড (Fatty Acid) উৎপাদিত হয় নিয়মিত আমন্ড খেলে। যা পেট ভাল রাখতে সাহায্য করে। লন্ডনের কিংস কলেজ (Kings College)-এর গবেষকরা একটি গবেষণা করেছেন। তাতে পেটের স্বাস্থ্যের উপর আমন্ডের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন -নামক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা পত্রটি। এই গবেষণাকে অর্থ জুগিয়েছে আমন্ড বোর্ড অফ ক্যালিফোর্নিয়া।


কীভাবে খেতে হবে?
প্রতিদিন রাতে এক বাটি জলে আমন্ড ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে আমন্ডের খোসা ছাড়িয়ে খালি পেটে তা খেয়ে নিতে হবে।


সবার জন্য ভাল আমন্ড? কতটা আমন্ড খাওয়া উচিত?
এক এক ব্যক্তির শরীরে উপর নির্ভর করে তিনি কতটা পরিমাণ বাদাম খেতে পারেন। এটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে যাঁদের হজমশক্তি তুলনায় দুর্বল তাঁদের জন্য় কম বাদাম খাওয়াই উচিত। যাঁদের অভ্যাস নেই রোজ আমন্ড খাওয়ার, তাঁরা একদিন থেকে হঠাৎ করে বেশি পরিমাণে আমন্ড খেতে শুরু করলেও সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ  জানাচ্ছেন, একদন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অন্তত ২টো করে আমন্ড খেতে পারেন। তারপরে প্রয়োজনে ধীরে ধীরে বাড়াতে পারেন। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস হতে পারে বাচ্চাদেরও! কোন উপসর্গগুলো দেখলেই সতর্ক হবেন?