কলকাতা: একরাশ ঘন কালো চুল (Hair Care) পেতে কে না চায়। কিন্তু এত ধুলো, ধাঁয়া, দূষণের মধ্যে চুল সুস্থ রাখা বেশ কঠিন কাজ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নানা কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেটের গোলমাল থেকে হজমের সমস্যা। কিংবা অন্য কোনও অসুখ। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ছে? শরীরে এই জটিল রোগ বাসা বাঁধেনি তো?
চুল পড়ার কারণ কোন অসুখ?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চুল পড়ার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের মতে, স্ট্রেস (Stress), উদ্বেগের মতো সমস্যা দেখা দিলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। শুধু দেখাই দেয় না, চুল পড়ার সমস্যাকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই চুল পড়ার সমস্যাকে এড়িয়ে চলেন। আসলে তিনি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকে অবহেলা করছেন এর ফলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের স্বাস্থ্যের সমস্ত দিকেই নজর দেওয়া দরকার বিশেষভাবে। যেকোনও অস্বাভাবিক কিছুতেই নজর দিতে হবে।
চিকিৎসকদের মতে, চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই হয়ে থাকে স্ট্রেস, উদ্বেগ, অবসাদ, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, আত্মহত্যার প্রবণতার মতো মানসিক সমস্যাগুলি দেখা দিলে। তাই যদি মারাত্মক হারে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন। হতে পারে, সেই ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হয়েছে। আর তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন - Health Tips: হতে পারে হৃদরোগ থেকে মাইগ্রেন, স্ট্রেস কমিয়ে ফেলুন এই খাবারগুলো খেয়ে
প্রসঙ্গত, ইদানিং অনেক শ্যাম্পুতেই পেঁয়াজের রাসায়নিক গুণের ব্যবহার করা হয়। সেই শ্যাম্পু দরকার নেই, বাড়িতে থাকা পেঁয়াজের সাহায্যেই সহজে কমতে পারে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা। চুল ঝরে পড়া রুখতে ব্যবহার হয় পেঁয়াজের রস। চুল সাদা হওয়া রুখতে, খুশকি দবর করতেও কার্যকরী পেঁয়াজের রস। চুলের জেল্লা ফেরানোর জন্যও ব্যবহার করা হয়। অ্যালোপেশিয়ার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে পেঁয়াজের রস ব্য়বহারে উপকার মেলে। পেঁয়াজের পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি সালফার থাকে। এই সালফার অ্যামাইনো অ্যাসিডে পাওয়া যায় যা প্রোটিনের অন্যতম উপাদান। প্রোটিন, মূলত কেরাটিন চুলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। মাথার ত্বকে এবং চুলে পেঁয়াজের রস দিলে অতিরিক্ত সালফারের কারণে চুল ভাল থাকে। চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। এই কোলাজেন নতুন ত্বকের কোষ তৈরিতেও সাহায্য করে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।