কলকাতা: বিভিন্ন খাবারে আমরা হামেশাই ঘি (Ghee) ব্যবহার করে থাকি। খাবারে ঘি, মাখনের ব্যবহার স্বাদ বাড়ায় নিঃসন্দেহে। অনেক মানুষই খাবারে ঘি ব্যবহার করতে ভয় পান ওজন বেড়ে যাওয়ার। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘি খাবারে ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীও হবে আবার ওজন বাড়ারও সমস্যা থাকবে না। খাবারে ঘি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কী বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে পুষ্টিবিদরা?


খাবারে স্বাদ বাড়াতে দারুণ উপকারী ঘি। স্বাদ গন্ধে অতুলনীয় ঘি রান্নায় কতটা ব্য়বহার করবেন তা জেনে নেওয়া জরুরি। ডাল, খিচুড়ি, কিংবা অন্যান্য অনেক খাবারে ঘিয়ের ব্যবহার আমরা করে থাকি। রান্নায় ঘি ব্যবহার করার আগে জেনে নেওয়া দরকার ঘি আমাদের স্বাস্থ্যের কী কী উপকার করে।


খাবারে ঘিয়ের ব্যবহার-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, ঘি খাবারের উষ্ণতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। গাজরের হালুয়া কিংবা মুগ ডালের হালুয়া ইত্যাদিতে ঘিয়ের ব্যবহার স্বাদ এবং গন্ধ বাড়িয়ে তা অতুলনীয় করে তোলে।


২. ঠান্ডা লাগার সময় ঘি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ঠান্ডা লাগার সময় যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় কিংবা মাথা যন্ত্রণা করে এছাড়া নাক বন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় ঘি।


৩. শরীরে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে ঘি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, দিনের শুরুতে যদি ঘিয়ের তৈরি কোনও খাবার খান, তাহলে চটজলদি তা এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।


আরও পড়ুন - Kitchen Hacks: পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া কীভাবে সুস্বাদু খাবার তৈরি করবেন?


৪. ঘিয়ে রয়েছে উপকারী ফ্যাট। আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চা করে থাকেন, তাহলে ঘি খাওয়ার জন্য চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। এতে উপকারী ফ্যাট থাকায়, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। 


৫. যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য দারুণ উপকারী ঘি। 


৬. হৃদপিন্ডের জন্যও দারুণ উপকারী ঘি। কারণ, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, ধি কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগে দূরে থাকে।


৭. ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী ঘি। বাড়িতে তৈরি ঘি ত্বককে মোলায়েম এবং ময়শ্চারাইজ রাখতে সাহায্য করে।


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, প্রতিদিন কোনও ব্যক্তি ৩ থেকে ৬ চামচ ঘি খেতে পারেন। তাহলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ক্ষতিকর হবে না। পাশাপাশি তাঁরা এটাও জানাচ্ছেন যে, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ কিংবা ডিনার কোনওটাতেই ঘি খাওয়া ক্ষতিকর নয়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।