কলকাতা: জ্বর, (fever) পেটের গণ্ডগোল (stomach upset), কনজাংটিভাইটিস (conjunctivits)! বর্ষা (monsoon)মানে ঘরে ঘরে রোগভোগ। ভাইরাস, পরজীবী, ব্যাকটিরিয়া ও জীবাণুর 'পৌষমাস'। তবে এই ধরনের রোগগুলি মোকাবিলায় কী করণীয়, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কম-বেশি জানা! কিন্তু বৃষ্টির মরসুম মানে যে ভেক্টরবাহিত (Vector-borne Disease) রোগের পোয়াবারো সেটা বহু সময়েই খেয়াল থাকে না আমাদের। ফল? ম্যালেরিয়া, লেপটোস্পাইরোসিস, ডেঙ্গি বাড়বাড়ন্ত। এবার কী করণীয়? উপায় আছে। কয়েকটি সহজ নিয় মানলেই ভেক্টরবাহিত রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায় এই সময়ে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী করবেন?
নিয়মগুলির অনেকগুলিই চেনা। তবু চেনা জিনিসও ভুলে যাই আমরা। তাই আরও এক বার মনে করিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রথমত বাড়ির আশপাশে কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না। পরিষ্কার হোক বা জমা, কোথাওই যেন জল না জমে খেয়াল রাখা দরকার। নিয়মিত কুলারের জলও যেন বদলানো হয় সেটাও খেয়াল রাখা জরুরি। দ্বিতীয়ত, মশার কামড় এড়াতে আরও কয়েকটি নিয়ম খেয়াল রাখতে হবে। যেমন এই সময়ে হালকা রঙের ফুলহাতা পোশাক পরা জরুরি। সঙ্গে পা ঢাকা ট্রাউজার। পায়ের পাতায়ও যাতে মশা না কামড়াতে পারে সে জন্য আঁটোসাঁটো জুতো পরা জরুরি। কাজের জায়গায় জানলা বন্ধ রাখুন। বাড়িতে অবশ্যই মশারি টাঙাতে হবে।পোকামাকড় মারে এমন স্প্রে নিয়মিত ব্যবহার করা দরকার। সাবধা থাকতে হবে বাইরে বেরোনোর সময়ও। যেমন চটি নয়, পা ঢাকা জুতো পরাই শ্রেয় এই সময়ে। পারলে কাকভোর ও গোধূলির সময় বেরোবেন না। মশাদের প্রজননের আদর্শ সময় এই দুটিই। মোটের উপর লক্ষ্য একটাই। মশার প্রজনন আটকানো ও মশার কামড়ে সম্ভাবনা কমানো।
আর যা জরুরি...
এছাড়া আরও কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলে ভাল। যেমন আপনি যে এলাকার বাসিন্দা সেখানে যদি কোনও রোগের আধিক্য থাকে তা হলে তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষেধক নিয়ে রাখা জরুরি। খাবারে যেন কোনও ধরনের বিষাক্ত কিছু না মেশে, সে দিকে আরও বেশি করে খেয়াল রাখা দরকার। পাশাপাশি বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, শাকসব্জি ধুতে গরম জলের ব্যবহার ইত্যাদি নিয়মগুলি অত্যন্ত কার্যকরী। আশপাশে আবর্জনার স্তূপ থাকলে অবিলম্বে পরিষ্কার করতে হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সবচেয়ে বড় কথা, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।
তা হলেই ফি-বর্ষায় ভেক্টরবাহিত রোগের ভোগান্তি থেকে অনেকটা বাঁচা সম্ভব।