কলকাতা: ঘরের অগুন্তি কাজ, অফিসে কাজের চাপ, পরিবার-পরিজনের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য, সামাজিক সমস্যা - জীবনের পথে চলা কি এতই সহজ? একদিনে এত কাজের চাপ হয়ে যায় যে নিজের খাওয়া দাওয়ারই (diet and fitness) আর কোনও ঠিক থাকে না। আচ্ছা ধরুন, সারাদিন অনেক খাটাখাটনি করেছেন, এবার প্রবল খিদেয় পেট জ্বালা করছে। হাতে সময়েও বিশেষ নেই। তখন তাড়াতাড়ি খিদে উপশম করতে কী খাবেন? এমন ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই আমরা যেটা করি, অনলাইনে (Online Food) খাবার অর্ডার করেনি, বা বাইরে থেকে খাবার কিনে আনি। 


বাড়িতে বসে বাইরের জাঙ্ক ফুড (Junk Food) খেতে নিশ্চয়ই ভাল লাগবে, খিদেও মিটবে। কিন্তু এ তো সাময়িক উপায় বের হল। কিন্তু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকার করে না এই জাঙ্ক ফুড। বরং ক্ষতি করে একগুচ্ছ। তবে সুস্থ থাকতে হলে এই অভ্যাস ত্যাগ করে স্বাস্থ্যকর খাবারে মন দিতে হবে। কীভাবে করবেন সেটা? কীভাবে ব্যস্ত রুটিনের মাঝেও থাকবেন স্বাস্থ্য সচেতন?


নিয়মিত খাদ্যগ্রহণ করুন ও হালকা খাবার খান


একবার ও ভারী খাবারের ওপর নির্ভর করা ছেড়ে দিন। বরং বারবার খাবার খান, এবং অবশ্যই হালকা খাবার খান। সারাদিনে একবার দুবার না খেয়ে অল্প করে বারবার খান। অল্প পরিমাণে খেলে ঝিমুনি কম আসে। সারাদিন সজাগ ও কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করে। শুতে যাওয়ার দু-তিন ঘণ্টা আগে ভারী মিল খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। 


বাড়ির খাবার খান


বাড়িতে খাবার তৈরি করলে কোন কোন উপকরণ ব্যবহার করছেন তা নিজের আয়ত্তে থাকে। এর ফলে অস্বাস্থ্যকর উপকরণ এড়িয়ে চলতে পারবেন সহজেই। এছাড়া চেষ্টা করুন অফিসেও যেন বাড়ির তৈরি খাবার নিয়ে যেতে পারেন। যাতে বাইরের খাবারের থেকে দূরে থাকেন। 


পেট ভরবে এমন স্বাস্থ্যকর খাবার বাছুন


এমন খাবার বাছুন যা কেবল পুষ্টিগুণ যুক্ত তাই নয়, বরং সারাদিন কাজের শক্তি যোগাবে তেমন জ্বালানিও দেবে শরীরে। প্রোটিনে ভরপুর খাবার যেমন মাংস, বিনস, ডাল বা ঝোলে কাবলি ছোলা, বা স্যুপ ও স্যালাড খান। এতে শক্তি, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস ও তন্তু থাকে। 


সঙ্গে হালকা স্ন্যাক্স রাখুন


কাজে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে স্ন্যাক্স নিয়ে বেরোন। ফল, সবজি, মাখানা, ক্র্যাকার, নুন ছাড়া বাদাম, শুকনো ফল বা দানাজাতীয় খাদ্য রাখতে পারেন সঙ্গে। হঠাৎ খিদে পেলে মুখে দিন এগুলো, খিদেও মিটবে, কাজের শক্তিও পাবেন। 


হাইড্রেটেড থাকুন


সারাদিনে বিপুল পরিমাণে তরল পদার্থ খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শরীরে জলের পরিমাণ কমলে ক্লান্তি আসতে পারে। কাজের ক্ষতি হতে পারে। সঙ্গে রাখুন জলের বোতল, নিয়মিত চুমুক দিন। এছাড়া হার্বাল চা বা জলজ রিফ্রেশমেন্ট ড্রিঙ্ক খেতে পারেন। 


ক্যাফেইন খাওয়া এড়িয়ে চলুন


ক্যাফেইন শরীরকে তরতাজা করতে খাওয়া হয়, কিন্তু এর বিরূপ প্রতিক্রিয়াও আছে। ক্যাফেইন খাওয়া কমালে ঘুম ঠিকঠাক হবে।


খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখুন


স্বাস্থ্যকর স্নেহপদার্থ রোজের খাদ্যতালিকার অংশ হওয়া উচিত অবশ্যই। ঘি, বাদাম জাতীয় জিনিস রাখুন মিলে, বাড়বে কর্মক্ষমতা। 


আরও পড়ুন: Air Conditioner: বর্ষাতে ভ্যাপসা গুমোট গরম কাটাতে চালাচ্ছেন এসি, মেশিনের খেয়াল রাখতে কী কী করবেন?


এরসঙ্গে, মনে রাখতে হবে, নিয়মিত খাবার একেবারেই বাদ দেওয়া যাবে না। মদ্যপানের পরিমাণ কমাতে হবে, তা যেন কখনওই মাত্রাতিরিক্ত না হয়ে যায়। কাজ, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কাজ, সবকিছুর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। সর্বদা সচল থাকুন। যত কাজের মধ্যে থাকবেন, শরীরও সচল থাকবে তত বেশি। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial