কলকাতা: ঠোঁট ফাটার (Cracked Lips) সমস্যা সাধারণত শীতকালে দেখা যায়। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ঠোঁট শুকনো হয়ে যাওয়া, ঠোঁটের ত্বকের উপরিভাগ থেকে ছাল ওঠা, ঠোঁট ফাটা এবং কখনও কখনও রক্তও বের হয়। কিন্তু এই সমস্ত সমস্যাই দেখা দেয় শীতকালে। অনেকের ক্ষেত্রে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয় গরমকালেও। কোন অসুখের লক্ষণ এটি? কীভাবেই বা গরমকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


গরমকালে কেন ঠোঁট ফাটে-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালের মতো গরমকালেও নানা কারণে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতকালে যেমন অত্যধিক শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ঠোঁট ফাটে। তেমনই গরমকালে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ক্ষতি হয় ঠোঁটের। তার জন্যই গরমকালেও ঠোঁটের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাঁদের মতে, শরীরের অন্যান্য অংশের মতোই সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করা দরকার ঠোঁটকেও। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি লাগার কারণে ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত শুকনো হয়ে যায়, আর তার ফলেই ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। 


গরমকালে ঠোঁট ফাটার অন্য কারণ-


শুধুমাত্র সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণেই নয়, গরমকালে ঠোঁট ফাটার কারণ রয়েছে আরও। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমকালে শরীরে জলের চাহিদা বেশি থাকে। শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না থাকে, তাহলে আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তার প্রভাব পড়ে ত্বকে এবং ঠোঁটে। শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলেও ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যাঁদের পাকস্থলীর সমস্যা রয়েছে, হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে। গরমকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার।


আরও পড়ুন - Watermelon Ice Cream: বাড়িতে অনেক তরমুজ রয়েছে? বানিয়ে ফেলুন আইসক্রিম


গরমকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা প্রতিরোধের উপায়-


বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা প্রতিরোধ করতে সবার আগে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করা জরুরি। এছাড়াও, ঠোঁট ময়শ্চারাইজ রাখতে ব্যবহার করুন লিপ বাম। তবে, লিপ বাম কেনার আগে তা দেখে নিতে ভুলবেন না। লিপ বামে যেন অবশ্যই হোয়াইট পেট্রোলিয়াম জেলি, শিয়া বাটার, ক্যাস্টর সিড অয়েল, মিনারেল অয়েল প্রভৃতি উপাদান থাকে। এছাড়া, যখনই বাড়ির বাইরে কোথাও বেরবেন, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধক উপাদান সম্পন্ন লিপ বাম ব্যবহার করুন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।