Detox Water Health Issues In Summer: ওজন কমানোর জন্য বর্তমানে ডিটক্স ওয়াটার বেশ জনপ্রিয়। ডিটক্স ওয়াটার বাড়িতেই বানানো যায়। খুব সহজ পদ্ধতিতেই ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়ে এই জল বানিয়ে ফেলা যায়। রোজ সকালে বা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় ডিটক্স ওয়াটার খেলে ওজন দ্রুত কমে। ওজন কমানো ছাড়াও ডিটক্স ওয়াটারের বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। কিন্তু গরমকালে ডিটক্স ওয়াটার শরীরের জন্য ভাল ? এই সময় খেলে শরীরের লাভ না ক্ষতি ? এই বিষয়ে এবিপি লাইভের সঙ্গে সঙ্গে বিশদে কথা বললেন নারায়ণা হাসপাতালে চিকিৎসক পদ্মজা নন্দী।
গরমকালে ডিটক্স ওয়াটার শরীরের জন্য ভাল ?
শুরুতেই ডিটক্স ওয়াটারের বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে বলেই জানালেন চিকিৎসা পদ্মজা নদী। কিন্তু এর মধ্যে বেশ কিছু এমন উপাদান থাকে যা শরীর গরম করে দেয়। গরমকালে এই ধরনের উপাদান এড়িয়ে চলাই ভাল। এই উপাদানগুলি দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানালে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে যায়। শরীর ঠাণ্ডা হওয়ার বদলে গরম হয়ে যায়। যা থেকে গরমজনিত নানা রোগ যেমন হিট এডেমা, হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ডিটক্স ওয়াটারের কোন কোন উপাদানে বিপদ ?
ডিটক্স ওয়াটার বানানোর জন্য যে যে উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলির সবকটি শরীরের ক্ষতি করে না। বরং কিছু কিছু উপাদান শরীরের ক্ষতি করে। চিকিৎসকের কথায়,
- আদা দিয়ে অনেকেই ডিটক্স ওয়াটার বানান। এটি গরমে খেলে পেট ও শরীর গরম হতে পারে। এর মধ্যে প্রদাহনাশী ব্যথানাশক গুণ থাকলেও গরমে আদা খাওয়া ঠিক নয়।
- জিরের মধ্যে আদার মতোই একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। ওজন কমানোর পাশাপাশি এটি ফাইবারে ভরপুর বলে পেট ভাল রাখে। ওজন কমানো ছাড়াও ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু গরমকালের সকালে্য জিরে ভেজানো জল মোটেই উপকারী নয়। কারণ এটি শরীর গরম করে দেয়।
বিকল্প ডিটক্স ওয়াটার
তা বলে ডিটক্স ওয়াটার একেবারে খাওয়া যাবে না তা নয়। এর বিকল্প রয়েছে। ডিটক্স ওয়াটার একান্ত খেতে হলে পুষ্টিবিদের মত, শশা কুচি, দই ও পুদিনা পাতা দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে। শশা ও দই ডিহাইড্রেশন কমায়। একইসঙ্গে ওজন কমায়। শরীর গরম করে না অথচ ওজন কমায়, এমন উপাদান দিয়েই এই সময় ডিটক্স ওয়াটার বানানো ভাল।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - Bird Flu In Milk: দুধে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেন! কী বলছে WHO ?