কলকাতা: কোভিডের দাপটে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ওলটপালট হয়েছে সারা বিশ্ব। নিমেষে বদলে গিয়েছে দুনিয়া। প্রতিদিনের রুটিন, কাজ-পড়াশোনা সবকিছু পাল্টে গিয়েছে আপাদমস্তক। কোভিডের দাপটে একদিকে স্বাস্থ্য নিয়ে আতঙ্ক। অন্যদিকে কাজের প্রবল অনিশ্চয়তা সব নিয়েই কমবেশি মারাত্মক মানসিক চাপে কাটিয়েছে সারা পৃথিবীর অধিকাংশ লোকজনই। সব মিলিয়ে শারীরিক ভাবে তো বটেই, মানসিক ভাবেও প্রবল ধাক্কা খেয়েছেন অনেকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিড শুধু অর্থনৈতিক বা শারীরিকভাবেই কমজোরি করেনি, ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে মানসিক ভাবেও। অনেকেই শিকার হয়েছেন অবসাদের। একাধিক সমীক্ষা জানিয়েছে, কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে বেড়েছে স্ট্রেস সংক্রান্ত সমস্যা। শুধু কোভিড কেন, আরও নানা কারণেই মারাত্মক স্ট্রেস ও মানসিক অবসাদের শিকার হন অনেকেই। কোভিড পরিস্থিতি তাতে দিয়েছে গতি। সমস্যা থাকেই কিন্তু বের করতে হয় সমাধানের পথও। কীভাবে মিলবে সুরাহা? জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাই।
আবেগকে গুরুত্ব দিন
মনের গুরুত্ব অপরিসীম। কোনও কিছুতে কতটা খারাপ লাগছে বা কতটা ভাল লাগছে তা ঠিকমতো বোঝা এবং তাকে মান্যতা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনে মনের কথা ডায়েরিতে লেখা যায়। তাতে কমে মানসিক চাপ।
অনিশ্চিত পরিস্থিতি মেনে নিন
জীবনের সবকিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই সব কিছু নিয়ে গভীর চিন্তা করে কোনও লাভ নেই। যতটা সম্ভব চেষ্টা করা যায়, বাকি ফল নিয়ে খুব উদ্বেগ কখনও উপকার করে না।
মানসিক চাপ কাটাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে পরিবার, বন্ধু শুভাকাঙ্খীরা। সঙ্গে খেয়াল রাখতে হয় শরীর-মনেরও। কোন কোন দিকে রাখবেন খেয়াল?
হালকা ব্যায়াম
অল্পবিস্তর শরীরচর্চা শুধু শরীর নয়, মন ভাল রাখতেও উপকারী। দিনের কোনও সময় অল্প শরীরচর্চা করতে পারলে ভাল থাকবে মন, বাড়বে আত্মবিশ্বাসও
ভাল খাবার
মন ভাল করতে খাবারের জুড়ি নেই। নিয়ম করে ডায়েট মেনে খাবার খেতে হবে। রাখতে হবে পুষ্টিকর ফল-সবজি। সব পোষক পদার্থ যাতে পাতে থাকে সেটাও নিশ্চিত করতেই হবে। তার সঙ্গেই পছন্দের খাবারেও কড়া হবেন না। ইচ্ছে হলে চকোলেট, ফাস্টফুড অল্পস্বল্প খাওয়াই যায়।
প্রয়োজন বিশ্রাম
ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সারাদিনের কাজের পর ঠিকমতো ঘুমোতে হবে। রাত জেগে থেকে ভোরে উঠে কাজ করা সম্ভব নয়।
পরিবারে সান্নিধ্য
যতই কাজের চাপ থাক। পরিবারের জন্য সময় বের করুন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালে মানসিক চাপ কমবে। পরিবারের সান্নিধ্য কাজের স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করবে।
স্ক্রিন থেকে দূরে
কাজের জন্য অনেককেই প্রায় সারাদিন মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। স্ক্রিন টাইম যত বাড়বে, স্ট্রেসও বাড়বে। ফলে বিশ্রামের সময় দূরে রাখতে হবে মোবাইল-ল্যাপটপ।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।