কলকাতা: চায়ের সঙ্গে কিংবা দুধের সঙ্গে বহু বাড়িতেই বিস্কুট (Biscuit) খাওয়া হয়। বাচ্চা থেকে বড় সকলেই বিস্কুট খেতে কম বেশি পছন্দ করে। আপনিও হয়তো আপনার বাড়ির বাচ্চাটিকে দুধের সঙ্গে বিস্কুট খেতে দিচ্ছেন। কিন্তু জানেন কি সব বিস্কুটই বাচ্চার জন্য স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটের গায়ে লেখা 'ডাইজেস্টিভ', 'লাইট', কিংবা 'ওটমিল' দেখেই উপকারী ভেবে সেই বিস্কুট বাচ্চাকে খেতে দিচ্ছেন? সব বিস্কুট বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। তাঁদের মতে, বেশিরভাগ বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থাই সাইকোলজিক্যালি বিস্কুটের নাম রাখে। যাতে তাতে আকৃষ্ট হয়ে আপনি সেই সংস্থার বিস্কুট কেনেন। এর মধ্যে বেশিরভাগের মধ্যেই উপকারী উপাদান থাকে না।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাচ্চাদের কিংবা নিজে বিস্কুট খাওয়ার আগে বিস্কুটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side Effects Of Biscuit) সম্পর্কে জেনে নেওয়া খুবই জরুরি। তাঁদের মতে, বিস্কুট হজমশক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পর্যন্ত কমে যেতে পারে এর ফলে।


২. তাঁদের মতে, বহু বিস্কুটেই পাম অয়েল ব্যবহার করা হয়। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্সের ঘাটতি দেখা দেয় পাম অয়েলের কারণে।


৩. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আমরা সকলেই জানি বেশিরভাগ বিস্কুটই ময়দা দিয়ে তৈরি হয়। অনেক সময়ই এই উপাদান পেটের জন্য উপকারী নয় একেবারেই। বাচ্চাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


আরও পড়ুন - Pavro Virus: কুকুরের জন্য মারাত্মক পার্ভো ভাইরাস, কী এর লক্ষণ?


৪. যাঁরা ওজন কমানোর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন, তাঁদের জন্য বিস্কুট খুবই ক্ষতিকর। বিস্কুটে ওজন বাড়তে পারে বলে মত পুষ্টিবিদদের।


৫. বহু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অত্যধিক মাত্রায় বিস্কুট খেলে তা অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। এর ফলে ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন রকমের হৃদরোগ দেখা দিতে পারে।


৬. বাচ্চারা অনেক সময়ই ক্রিম বিস্কুট খেতে পছন্দ করে। হতে পারে আপনি প্যাকেটে লেখা দেখে সুহার ফ্রি ক্রিম বিস্কুট কিনে দিচ্ছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, সুগার ফ্রি বা ফ্যাট ফ্রি বিস্কুট বলে কিছু হয় না। ক্রিম বিস্কুট বাচ্চাদের শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এতে কৃত্রিম মিষ্টির ব্যবহার করা হয়। যা শুধু বাচ্চাদেরই নয়, বড়দের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।