কলকাতা: সারা বিশ্বে আতঙ্কের আর এক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস (Coronavirus)। গত দুটো বছরে করোনা (Covid19) আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। এই মারণ ভাইরাসে প্রাণও হারিয়েছেন বহু মানুষ। বর্তমানে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। প্রতিদিন বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তার সঙ্গে সংক্রমণ বাড়ছে ওমিক্রনের (Omicron)। কোভিডের এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংক্রমণের জাল বিছিয়েছে। প্রতিদিন এই ভ্যারিয়েন্টেও বহু সংক্রমিত হচ্ছেন। তবে, বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে করোনাভাইরাস এবং ওমিক্রনের নতুন নতুন উপসর্গ। 


জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা এবং আরও বেশ কিছু সমস্যার কথা জানা ছিল এতদিন। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে করোনা এবং ওমিক্রনের নতুন নতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এই সময়ে স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরে যদি কোনও লক্ষণ একটুও অস্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন - Encephalitis: এনকেফালাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলি কী কী?


ওমিক্রনের (Omicron) ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। যেগুলি জেনে রাখা খুবই জরুরি। এমন কোনও লক্ষন শরীরে দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।


১. ওমিক্রনে আক্রান্ত বহু মানুষের মধ্যে নানারকম উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। সম্প্রতি বেশ কিছু ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তা হল, নখের রঙ বদলে যাওয়া। যদি কারও নখের রঙ বদলে যেতে দেখেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, হাত কিংবা পায়ের নখ যদু হলুদ, নীল কিংবা ধূসর রঙের হয়ে যেতে দেখেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করান। শরীরে এবং রক্তে অক্সিজেনের অভাবে নখের রঙ বদলে যায়। তাই এমন উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই ফেলে রাখবেন না।


২. গলায় ব্যথা, গলা বসে যাওয়া কিংবা শ্বাস নিতে সমস্যা হলে অবশ্যই দ্রুত করোনা পরীক্ষা করানো প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শীতকালের সাধারণ জ্বর সর্দি ভেবে ফেলে রাখলে বিপদ।


৩. যদি সারাক্ষণই ক্লান্তি বোধ হয় কিংবা সারাক্ষণই ঘুমতে ইচ্ছে হয়, তাহলে হতে পারে আপনি ওমিক্রন আক্রান্ত। সেক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।


৪. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যদি পেশিতে ব্যথা হয়, তাহলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। হতে পারে করোনা দেখা দিয়েছে। ফেলে না রেখে দ্রুত পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।