নয়াদিল্লি:  সারা বিশ্বজুড়ে চিন্তার ভাঁজ কপালে ফেলেছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এই ভ্যারিয়েন্টকে খুবই সংক্রামক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। নয়া এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের হদিশ ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৫৭ টি দেশে পাওয়া গিয়েছে। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতও। গবেষণায় নয়া ভ্যারিয়েন্টে বেশ কিছু নতুন ধরনের মিউটেশন দেখা গিয়েছে। নয়া ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কতটা প্রভাবশালী হবে, তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন (World Health Organization)-এর বক্তব্য অনুযায়ী, ওমিক্রণ উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট (Variant of Concern)।


এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানান সংগঠন এর সংক্রমণের হার সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে। ভ্যাকসিনপ্রাপ্তদেরও সতর্কতা বজায় রাখার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ত্রাসের সঞ্চার করেছিল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এখন দেখে নেওয়া যাক, ওমিক্রনের তিনটি উপসর্গ সম্পর্কে।


ওমিক্রনে মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এ জন্য এর সংক্রমণ চিহ্নিত করার কাজ মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এর উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে খুব বেশি ক্লান্তি, দুর্বলতা। এই ভ্যারিয়েন্টের ৩০-এর বেশি মিউটেশন মিলেছে, যেগুলিতে মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকলেও  খুব সহজেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ঘটছে। ভ্য়াকসিনেশন সম্পূর্ণ না হলে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।  


গলা ব্যথা হওয়া


উল্লেখ্য, ওমিক্রনে আক্রান্ত অনেকেরই গলা ব্যথার সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই গলা চিরে যাওযার অনুভূতির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তা গলায় গুরুতর ব্যথায় বদলে যেতে পারে। কোনও কোনও আক্রান্তর খুব বেশি শুকনো কাশির সমস্যা হচ্ছে। অনেক কিছু করার পরও সেই কাশি যাচ্ছে না।


রাতে অতিরিক্ত ঘাম


ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ প্রথমে পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ওই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তর রাতে খুব বেশি ঘাম হওয়ার সমস্যা খুবই সাধারণ। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এত বেশি ঘাম হয় যে জামাকাপড় ভিজে যায়। সেইসঙ্গে শরীরে থাকে ব্যথার অনুভূতি।