কলকাতা: শীতকাল (Winter) পড়লেই অনেকের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এবং ফ্যাটের অভাবে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীর সুস্থ রাখার জন্য খুবই জরুরি। যা আমাদের শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাঁদের মতে, বহু মানুষই ওজন কমানোর জন্য মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে দেন। ওজন কম করার জন্য মিষ্টি পরিত্যাগ করাকেই সঠিক পদ্ধতি বলে মনে করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবলমাত্র মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিত্যাগ করলেই ওজন কমে না। পরিবর্তে শরীর প্রয়োজনীয় উপাদান থেকে বঞ্চিত হয়। কিছু কিছু ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়ও বটে। বিশেষ করে শীতকালে এমন অনেক খাবারের প্রয়োজন থাকে আমাদের শরীরে, যাতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। আর যা আমাদের শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। তাহলে দেখে নেওয়া যাক শীতকালে (Winter Health) শরীর উষ্ণ রাখতে কোন কোন খাবার অবশ্যই খাওয়া দরকার।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডিমে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে দুটো করে ডিম খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে থাকা ভিটামিন এবং মিনারেলস মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে।


২. তৈলাক্ত মাছ যেমন স্যামন, সার্ডিন এবং আরও কিছু সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। নিয়মিত এই মাছ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।


৩. প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে বাদামে। কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, আমন্ড বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং প্রোটিন ওবেসিটির ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে বিভিন্ন হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। টাইপ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কম করে একমুঠো বাদাম। স্ন্যাকস হোক কিংবা যেকোনও সময়, খিদে পেলে অন্য কোনও খাবারের পরিবর্তে একমুঠো বাদাম শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।


আরও পড়ুন - Lose Belly Fat Tips: কিছুতেই পেটের মেদ কমছে না? কী করবেন?


৪. দুগ্ধজাত দ্রব্যের মধ্যে দইতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। হজমশক্তি উন্নত করার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে দই।


৫. পাউরুটির সঙ্গে কিংবা ডাল, চাপাটির সঙ্গে প্রায়শই আমরা মাখন কিংবা চিজ খেয়ে থাকি। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন কে। স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। শীতকালে নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।