কলকাতা: মা (Pregnant) হওয়ার আগে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকেরা। যাঁরা মা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের রোজকার জীবনযাত্রায় অবশ্যই বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা দরকার। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মা হওয়ার আগে সন্তান ও মায়ের যাতে শারীরিক কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য সবার আগে বেশ কিছু অভ্যাসও ত্যাগ করা প্রয়োজন। মা হওয়ার পরিকল্পনা করার আগে যে যে লাইফস্টাইল এবং অভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজনের কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁদের আগে থেকেই নানা জটিল রোগ বাসা বেঁধে রয়েছে শরীরে, তাঁরা অবশ্যই যেকোনও পরিস্থিতিতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। জটিল রোগ বলতে, মধুমেহ, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে মা হওয়ার সময় বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শারীরিক অবস্থার কথা সবসময় চিকিৎসককে জানাতে থাকার পরামর্শ তাঁদের।


২. চিকিৎসকদের মতে, শিশুর মস্তিষ্ক ও শিরদাঁড়ার গঠন যাতে সঠিক হয় এবং যাতে কোনও সমস্যা না দেখা দেয়, তাই অন্তঃসত্বার হওয়ার আগে ফলিক অ্যাসিড জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। নাহলে পরবর্তীকালে শিশুর নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।


আরও পড়ুন - Recipe: সহজে বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যকর কলার চিপস, রইল রেসিপি


৩. মা হওয়ার পরিকল্পনা করলে সবার প্রথমে ধূমপান ও মদ্যপান পরিত্যাগের কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ধূমপান ও মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর আমরা সকলেই জানি। কিন্তু শিশুর শারীরিক নান সমস্যা দেখা দিতে পারে এর কারণে। অসময়ে শিশুর জন্ম হতে পারে, শিশুর ওজন সঠিক না হতে পারেন, মিসক্যারেজের সম্ভাবনা থাকে এবং শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাসেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মদ্যপান ও ধূমপান প্রথমেই বর্জন করা দরকার।


৪. মা হওয়ার পরিকল্পনা করলে স্বাস্থ্য সঠিক রাখার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে সঠিক গুণগতমান সম্পন্ন খাবার খাওয়া দরকার। অর্থাৎ, প্রতিদিন খাবারের তালিকায় যেন পুষ্টি সম্পন্ন খাবার থাকে। শাকসব্জি, ফল, বাদাম, প্রোটিন, ভিটামিনজাতীয় খাবার খেতে হবে। এর পাশাপাশি অবশ্যই নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করতে ভুলবেন না যেন। চিকিৎসকেরা যেমন পরামর্শ দেবেন, তেমন শরীরচর্চা করা দরকার।


৫. পিৎজা, বার্গার, সিঙ্গারা, কফি, ক্যান্ডি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, শর্করাজাতীয় পাণীয় এবং অবশ্যই জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করা দরকার মা হওয়ার সময়। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।