কলকাতা: দীর্ঘ দিন ধরে কাশি (coughing) থামছে না? কিংবা বুকে ব্যথা (chest pain), সঙ্গে শ্বাসকষ্ট (shortness of breath)? চিকিৎসকদের বড় অংশ বলছেন, খুব বেশি দিন ঢিলেমি না দেওয়াই ভালো। কারণ এগুলির প্রত্যেকটিই লাং ক্যানসারের (lung cancer)প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে। 


ফুসফুসে কর্কটের থাবা...
চমকে উঠবেন না। উপসর্গগুলি থাকা মানেই ক্যানসার হয়েছে এমন ভাবার কারণ নেই। কিন্তু সমস্যাগুলি বেশি দিন ধরে চলতে থাকলে ফেলে না রাখা ভালো। কারণ এক্ষেত্রে সতর্কতার কোনও বিকল্প নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একটা পরিসংখ্যানেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। হিসেব বলছে, লিভার, ব্রেস্ট বা স্তন এবং কোলন ক্যানসার মিলিয়ে বিশ্বে যত জনের মৃত্যু হয় তার থেকে বেশি মানুষ মারা যান ফুসফুসের ক্যানসারে। এখান থেকে রোগটির প্রাণঘাতী ক্ষমতার আন্দাজ করা যেতে পারে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার দিকেই জোর দিচ্ছেন ডাক্তাররা। তাঁদের বক্তব্য একটাই। রোগটি প্রাথমিক স্তরে থাকাকালীনই যাতে চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে, সে দিকে খেয়াল করা জরুরি। আর সে জন্য নিয়মিত ক্যানসার স্ক্রিনিং-ই মোক্ষম উপায়।


কী কী করণীয়?
৫০-৮০ বছর বয়সিদের জন্য লাং ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের উপর সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষত যাঁরা ধূমপান করেন বা আগে করতেন তাঁদের জন্য এই পরীক্ষা জরুরি। এক্ষেত্রে ১৫ বছর আগে ধূমপান ছাড়লেও পরীক্ষা করানো দরকার। রোগনির্ণয়ের একাধিক পদ্ধতি রয়েছে। কার ক্ষেত্রে কোনটি জরুরি সেটি বুঝে নিয়ে পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সাধারণত  এ এক্ষেত্রে 'লো ডোজ কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি'-র ব্যবহার রয়েছে। তা ছাড়াও নানা পরীক্ষা করা যেতে পারে। স্ক্রিনিংয়ের ফয়দা অনেক। প্রাথমিক স্তরে লাং ক্যানসার ধরা পড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার সুবিধা হয়। তা ছাড়া নিয়মিত স্ক্রিনিং ঝুঁকি সম্ভাবনাও জানিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে আগে থেকে সতর্ক হতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। তাই নিয়মিত পরীক্ষা জরুরি। ওয়ার্ল্ড লাং ক্যানসার ডে-তে আরও একবার বিষয়টিতে জোর দিলেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন:স্কুলে ২১ হাজার শূন্যপদে নতুন করে নিয়োগের তোড়জোড় শুরু, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর