কলকাতা: ওবেসিটি  স্বাস্থ্যের অন্যতম বড় সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানান যে, ওবেসিটির কারণে স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা দেখা দেয়। বহু অসুখের কারণই ওবেসিটি। তাই অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা খুবই জরুরি। গবেষকরা বিভিন্ন সমীক্ষার মাধ্যমে জানাচ্ছেন যে, ওবেসিটির কারণে প্রতি বছর বহু মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে প্রাণহানীও ঘটে। অতিরিক্ত ওজন যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনই খুব কম ওজনও স্বাস্থ্যের জন্য একইরকম ক্ষতিকর। গবেষকরা জানাচ্ছেন, শরীর এবং বয়সের তুলনায় ওজন কম হওয়ার কারণে অসময়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। পুরুষদের মধ্যে এই মৃত্যুহার ১৪০ শতাংশ। আর মহিলাদের মধ্যে ওজন কম থাকার কারণে মৃত্যুর হার ১০০ শতাংশ। 


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওজন কম হওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে বহু রোগে শরীর আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়াও বাতের সমস্যা, অস্টিওপোরোসিস, বন্ধাত্বের সমস্যা প্রভৃতি নানা জটিল সমস্যা দেখা দেয়। তাই বয়স, উচ্চতা এবং স্বাস্থ্য অনুযায়ী শরীরের সঠিক ওজন ধরে রাখা খুবই জরুরি। যাঁদের ওজন কম, তাঁরা সুরক্ষিত উপায়ে ওজন বাড়াতে পারেন। ওজন বাড়ানোর (Weight Gain) সুরক্ষিত এবং সহজ উপায় জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


১. প্রতিদিনের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটজাতীয় খাবার রাখা দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রোটিন। 


২. খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়ার পাশাপাশি ঘুমের দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খুবই দরকারি। কম ঘুম শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে, তেমনই ওজন সঠিক রাখতেও সাহায্য করে।


আরও পড়ুন - Monkey Fever: কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন মাঙ্কি ফিভার দেখা দিয়েছে?


৩. খাবার খাওয়া বাদ দিলে চলবে না। অর্থাৎ, যে সময়ে যে খাবার খাওয়া প্রয়োজন, সেই খাবার তখনই খেতে হবে। 


৪. খাবার একেবারে আগে জল খাওয়া উচিত নয়। অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে খাবার খাওয়ার আগে জল খাওয়ার। কিন্তু যাঁদের ওজন কম, তাঁদের জন্য এই অভ্যাস একেবারেই সঠিক নয়।


৫. ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ধূমপান। তাই এই অভ্যাস এখনই ত্যাগ করা প্রয়োজন। শুধু ওজন বৃদ্ধিতেই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর ধূমপান।


৬. প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করলে শরীর সুস্থ থাকবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে শরীরে অত্যধিক মেদ না জমেও ওজন বাড়বে সঠিক উপায়ে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।