কলকাতা: গরমকাল মানেই আম, জাম, লিচুর সঙ্গে উচ্চারিত হয় আর একটি ফলের নাম। সেটা হল কাঁঠাল (Jackfruit)। যদিও আমের মরসুম পেরিয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছুটা সময় কাঁঠাল পাওয়া যায়। আর এখন তো বর্ষা পড়ে গিয়েছে। বর্ষাকালে কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা। মিষ্টি রসালো ফলের মধ্যে কাঁঠাল বহু মানুষের অত্যন্ত পছন্দের। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী কাঁঠাল? তাছাড়া মধুমেহ (Diabetes) রোগীরা সমস্ত কিছু খেতেও পারেন না। স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে রয়েছে তাঁদের অনেক বিধি নিষেধ। মধুমেহ রোগীরা কি কাঁঠাল খেতে পারেন? কিংবা যদি খেয়েও ফেলেন, তাহলে কী হতে পারে?


মধুমেহ রোগীদের জন্য কাঁঠাল ক্ষতিকর নাকি উপকারী?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আমাদের রক্তে যখন শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখনই মধুমেহ রোগ দেখা দেয়। এই অসুখ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে তা চিরস্থায়ী হয়ে যায়। যদিও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে এবং খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলে নিয়ন্ত্রণ আনলে মধুমেহ রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। রক্তে যদি শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তাহলে তা থেকে হৃদরোগ, কিডনি, চোখ এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যে সমস্ত খাবারের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেগুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, যদি কাঁঠাল খেতে চান, তাহলে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন মধুমেহ রোগীরা। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন - Health Tips: পঁয়তাল্লিশের পর পুরুষদের যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো অবশ্যই করানো দরকার


বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসের মতো উপকারী উপাদান রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাঁচা কাঁঠাল বা এঁচোড়ে সামান্য শর্করার মাত্রা থাকলেও কাঁঠালে একেবারেই ক্ষতিকর কোনও উপাদান নেই। বরং রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে কাঁঠাল। পাশাপাশি ক্যালোরিও থাকে না এতে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।