কলকাতা : সন্তানের জন্মের আগে যেমন হবু মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা খুবই জরুরি। তেমনই সন্তানের জন্মের পরও নতুন মায়েদের শরীর স্বাস্থ্যের দিকে আরও বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মা হওয়ার প্রথম ধাপ থেকে মা হওয়ার পর যতদিন বাচ্চারা ব্রেস্টফিড করছে, ততদিন পর্যন্ত মায়েদের স্বাস্থ্যের কথা বিশেষভাবে ভাবা দরকার। কারণ, উভয় ক্ষেত্রেই মায়েদের শরীরের পুষ্টি থেকেই শিশুর পুষ্টি হয়। তাই সন্তানের জন্মের পর মায়েদের এমন সমস্ত খাবার খাওয়া দরকার, যার মাধ্যমে শিশুরাও সম্পূর্ণ পুষ্টি পেতে পারে। তারও পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সন্তানের জন্মের পর নতুন মায়েদের চিকিতসকদের কথা অনুযায়ী প্রতিদিন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া দরকার। যদি কোনও মা নিয়ম মতো খাবার না খান, তাহলে তাঁর শরীরে ক্যালোরি এবং অন্যান্য উপকারী উপাদানের মাত্রা কমে যায়। 


২. নতুন মায়েদের খাবারের তালিকায় প্রত্যেকদিন যেন এক তৃতীয়াংশ সবুজ শাক-সব্জি, এক তৃতীয়াংশ প্রোটিনজাতীয় খাবার এবং এক তৃতীয়াংশ কার্বোহাইড্রেডজাতীয় খাবার থাকে। প্রতিদিন তাঁদের অবশ্যই টাটকা সব্জি এবং ফল খাওয়া প্রয়োজন। এর ফলে ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ বাড়ে। এছাড়া, ব্রাউন রাইস, পাস্তা, চাপাটি প্রভৃতির পাশাপাশি প্রোটিন হিসেবে ডিম, মাছ, মাংস, ডাল, বিনস প্রভৃতিও রোজকার খাবারের তালিকায় রাখা দরকার। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটজাতীয় খাবার হিসেবে ঘি, অলিভ অয়েল, বাদাম, অ্যাভোক্যাডো এবং মাছের তেল বা তৈলাক্ত মাছ মায়ের পাশাপাশি শিশুরও স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।


৩. শিশুর দ্রুত উন্নতির জন্য এবং তার শরীরে যাতে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি না হয়, তার জন্য দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া খুবই দরকারি। নতুন মায়েরা প্রতিদিন অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস জল খেতে ভুলবেন না যেন।


এর পাশাপাশি এই সময়ে কফি কিংবা সফট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলার কথাও বলছেন পুষ্টিবিদরা। এতে অনিদ্রা এবং হজমের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মত তাঁদের।


 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।