কলকাতা : করোনা অতিমারির (Covid19) সময় থেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Work From Home) হার আরও বেড়ে গিয়েছে। সারাদিন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইলের সামনে বসে কাজ করায় চোখে প্রভাব পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে চোখ রাখলে তা দৃষ্টিশক্তি (Eyesight) দুর্বল করে দিতে পারে। তাই চোখের স্বাস্থ্যের দিকে এক্ষেত্রে নজর দেওয়া বিশেষ জরুরি। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। চোখের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং জিঙ্কজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এতে যে শুধু দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়, তা নয়। চোখ ভালো রাখার পাশাপাশি বয়সজনিত কারণে চোখের বিভিন্ন অসুখকেও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার জন্য বেশকিছু খাবারেরও পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।


১. আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, জিঙ্ক এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার জন্য দারুণ উপকারী আখরোট। পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, চোখের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত একমুঠো আখরোট খাওয়া যেমন উপকারী, তেমনই দুধ, দই এবং পনিরের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। এর জন্য আখরোট, পনির, দুধ, দই এবং নুন একসঙ্গে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। এবার মিক্সি থেকে বের করে সেটিকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে উপাদেয় লাগবে। সুস্বাদু তো বটেই। তারসঙ্গে উপকারীও।


২. ভিটামিন সি-তে ভরপুর একটি সহজ রেসিপি বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন। টমেটো, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, রসুন, লেবুর রস দিয়ে সালসা তৈরি করে নিতে পারেন।


৩. ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং উপকারী উপাদান রয়েছে। চোখ শুকিয়ে যাওয়া এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ডিম। তাই চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ডিম রাখতে ভুলবেন না।


৪.  স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সবুজ শাক-সব্জির জুড়ি মেলা ভার। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি, অ্যাভোক্যাডো এবং পালং শাক নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।


৫. স্যামন, টুনা প্রভৃতি মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। আর এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের বিভিন্ন অসুখকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। মাছের তেলও চোখের জন্য দারুণ উপকারী। তাই খাবারের তালিকায় এগুলো রাখতে ভুলবেন না।


 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি / ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।